জাবি ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত শুরুর দাবিতে মানববন্ধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০০ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৭ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (৫৩ ব্যাচ) ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত শুরু করাসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ ও ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার নেতাকর্মীদের সাথে সংহতি জানিয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘চিরকুট’ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিসমূহ হচ্ছে- জাবির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের (৫২ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু করা, ভর্তি পরীক্ষায় বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি বাতিল করে পরীক্ষা পদ্ধতির সার্বিক বিষয় সংস্কার করা এবং ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (৫৩ ব্যাচ) ভর্তি পরীক্ষা দ্রুত শুরু করা।
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ হলো গবেষক তৈরি করা, শিক্ষার উপর্যুক্ত পরিবেশ তৈরি করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন করা। কিন্তু প্রশাসন তাদের অর্থ উপার্জন নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রকল্প ও বাজেট কেন্দ্রিক বিষয়গুলোতে প্রশাসন খুবই সক্রিয়। তারা শুধু পারে বাজেট থেকে কীভাবে অর্থ উপার্জন করতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদের জন্য বাজেট দেওয়া হয়, প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, প্রশাসনিক কাজ করা হয় সেই প্রধান অংশীজন শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে দেড় কোটি টাকা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসন ৫২ ব্যাচের ক্লাস অনলাইনে শুরু করেছে। যা খুবই নিন্দাজনক।
ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, প্রশাসনের মাথায় শুধু আসে কীভাবে গাছ কেটে যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করা যায় এবং বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ লুটপাট করা যায়। তাদের মাথায় এটা আসে না, কীভাবে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে এনে সশরীরে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে, গণরুম উচ্ছেদ করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাড়ির ধাক্কায় নিহতের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে মিলে সকল শিক্ষার্থীর গলা চেপে ধরার ক্ষমতা রাখে কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের ক্ষমতা রাখে না।
সাংস্কৃতিক সংগঠন চিরকুটের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবাসন সংকটের কথা বলে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু করে বাসায় বসিয়ে রাখছে। কিন্তু তারা হল থেকে অছাত্রদের বের করে আবাসন সংকট নিরসন করে না। কারণ সামনে নির্বাচন। প্রশাসনের দরকার লাঠিয়াল বাহিনী। এজন্য তারা ক্ষমতাসীন অছাত্রদের প্রশ্রয় দেয়। প্রশাসনের উচিত সকল বিষয় সমন্বয় করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সচেষ্ট হওয়া। কিন্তু এই প্রশাসন পাঠদান ছাড়া বাকি সবকিছু করে।