ঢাবিতে যৌন হয়রানির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত চায় মহিলা পরিষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ভুক্তভোগী ছাত্রীসহ সব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
গতকাল বুধবার ওই শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে তারা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন। উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ঘটনায় নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর এই অভিযোগপত্র দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে উপাচার্য অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত করবেন বলে ভুক্তভোগীকে জানান। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম নুরুল ইসলাম। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ছাত্রী অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষক তাঁকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। শিক্ষকের কথার ধরন এবং অঙ্গভঙ্গি অস্বাভাবিক মনে হলে তিনি তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ান। ওই শিক্ষক তখন নিজের আসন ছেড়ে তাঁর কাছে উঠে আসেন এবং তাঁর গায়ে হাত দেন। ঘটনার আকস্মিকতায় কিছু বুঝে উঠতে না পেরে তিনি (ছাত্রী) ভয়ে ওই কক্ষ থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে ওই শিক্ষক তাঁকে ফোন করে কাউকে এ বিষয়ে কিছু না বলতে বারবার সতর্ক করেন। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসেও এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল। এর আগে ২০১৪ সালে মে মাসেও এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।