বিএনপি চায় দেশে আরেকটা ওয়ান ইলেভেন আসুক: ঢাবি উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, বিএনপির বর্তমান আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন নয়। তারা চায় দেশে আরেকটা ওয়ান ইলেভেন আসুক। সরকারের পতন ঘটুক পরে যদি তারা ক্ষমতা পায়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন কর্তৃক আয়োজিত ‘‘গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও নির্বাচন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে। আওয়ামী লীগের যে চরিত্র সেটা হলো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা বদল হবে। সেই নির্বাচনে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। কারণ কোনো দেশের কোনো দেশের রাষ্ট্রপতি মারা গেলে সে দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন উপরাষ্ট্রপতি। উপরাষ্ট্রপতি না থাকলে রাষ্ট্রপতি হবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কিন্তু তখন সামরিক শাসক হিসেবে আসলেন জিয়াউর রহমান। এসে আবার হ্যাঁ-না ভোটের আয়োজন করেছেন। এগুলো থেকেই বুঝা যায় তিনি বৈধ রাষ্ট্রপতি ছিলেন না। জিয়াউর রহমান এসে যে ইনডেমনিটি আইন জারি তৈরি করার মাধ্যমে তার সকল অপকর্মের বৈধতা দিলেন এর মাধ্যমে তিনি মূলত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির বর্তমান আন্দোলন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন নয়। তারা চায় দেশে আরেকটা ওয়ান ইলেভেন আসুক। সরকারের পতন ঘটুক পরে যদি তারা ক্ষমতা পায়।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, অনেকে বলছেন বাংলাদেশকে আরও অনেক স্যাংশন দেওয়া হবে। আমরা তো এখন স্যাংশন প্রুফড হয়ে গেছি। প্রথমে স্যাংশনের কথা শুনে অনেকে ভয় পেয়ে গিয়েছিলো কিন্তু এদিকে কারও নজর নাই। স্যাংশন আরও দেওয়া হোক। তাতে যেটা হবে আমরা একটা প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে দাঁড়াতে পারবো।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদাসহ আমন্ত্রিত শিক্ষক এবং অতিথিবৃন্দ।