২৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৪

রাবিতে ঢিল মেরে ছাত্রলীগ নেতার কক্ষের জানালা ভাঙচুর

রাবিতে ঢিল মেরে ছাত্রলীগ নেতার জানালা ভাঙচুর  © টিডিসি ফটো

মধ্যরাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে ঢিল মেরে জানালা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে না দেখলেও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের ১৬৫ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতার নাম তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলেন। ঘটনার বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টাকে তিনি অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন। 

সরেজমিনে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নেতার কক্ষের জানালার কাচ ভেঙে রুমের বাইরে ও ভিতরে পড়ে আছে। পুরো কক্ষ জুড়ে কাচের ছোট ছোট টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। 

ঘটনার বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা দুর্জয় বলেন, গতকাল রাত ৪টার দিকে কে বা কারা ঢিল মেরে আমার কক্ষের জানালা ভেঙে ফেলেছে। এতটায় জোরে ঢিল ছুঁড়েছে যে জানালা ভেঙে কাচের টুকরো পুরো কক্ষে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। এতে আমি আতঙ্কিত হয়ে বেড থেকে নেমে মেঝেতে কাঁথা বিছিয়ে বাকি রাত কাটিয়ে দেয়। সকালে উঠে এ বিষয়ে আমি হলের প্রভোস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা স্যারকে অবগত করি। এটা নিয়ে আমি আতঙ্কিত। তারা ঢিল না ছুঁড়ে ককটেলও তো ছুঁড়তে পারত। কাচের খণ্ডিত অংশ আমার মাথায় লেগে তো আমার মৃত্যুও হতে পারত। 

আরও পড়ুন: বাকৃবিতে রেললাইনের ক্লিপ খোলার ঘটনায় আটক এক

রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে নির্দেশনায় এমন কাজ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান কমিটির সভাপতি-সম্পাদকের নির্দেশনা ছাড়া এমন হীনকাজ করার সাহস কারো নাই। মধ্যরাতে একজন নেতার কক্ষে এভাবে ভাঙচুরের ঘটনা রাজনৈতিক সৌন্দর্যের মধ্যে পড়ে না। গতকালকের দু'পক্ষের মারামারির ঘটনায় সভাপতি-সম্পাদক আমার উপরেও দোষ দিয়েছে। কিন্তু এটা ডাহা মিথ্যা কথা। আমি তো বর্তমান কমিটির কাউকে কোনো ডিস্টার্ব করছি না। তাহলে তারা আমার উপর কেন হামলা চালাচ্ছে? 

সভাপতি-সম্পাদকের উপর অভিযোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, গত ৭ বছরে আমার কক্ষে কেউ ঢিল ছুঁড়ার সাহস দেখায়নি। বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার পর বিতর্কিত নেতারা ক্ষমতায় আসায় তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আমরা কাঙ্ক্ষিত পদবঞ্চিত নেতারা মিলে আন্দোলন করি। হয়তো তার সূত্র ধরে এ হামলা চালিয়েছে। 

এ বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, জানালা কে ভেঙেছে তার কাছে জানতে চাও। আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কেউ তো আমাকে ইনফর্ম করে নাই। এইমাত্র শুনলাম। ঘটনাটা ঘটার পর দুর্জয় তো বিষয়টা আমাকে জানাতে পারত। আমাদের উপর দোষ চাপালে হবে?

এ বিষয়ে সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাহমুদুল হক বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাটি শোনামাত্র আমি হল সুপারভাইজারকে কক্ষ পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠিয়েছিলাম। প্রক্টরের সাথেও কথা বলেছি। এ ঘটনায় যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের শনাক্ত করতে পারলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।