'বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির শিকার জাবির নবীন শিক্ষার্থীরা'
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্র ফ্রন্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেছেন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অনলাইন ক্লাসের এই প্রহসনে মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ লাভ, মুনাফা আদায় ও হিসাব-নিকাশের একটি রাজনৈতিক পরিকাঠামোর শিকার হয়েছে নবীন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে নতুন হল চালু করতে প্রশাসনের অক্ষমতা এবং ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্তে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে কনোজ বলেন, ''আবাসন নিশ্চিতের কথা বলে পরীক্ষা শুরুর পাঁচ মাসেও স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করেনি প্রশাসন। এখন তো কোন মহামারি বা দুর্যোগের সময় নয়। তবে কর্তৃপক্ষ কেন নবীন শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু কথা বলছে? এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ লাভ, মুনাফা আদায় এবং হিসাব-নিকাশের একটা রাজনৈতিক পরিকাঠামোর শিকার হচ্ছে নবীন শিক্ষার্থীরা।''
তিনি আরও বলেন, ''শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রথম দিনের আবেগ, অনুভূতি-আনন্দ সবকিছুকে বিসর্জন দিয়ে গলা টিপে হত্যা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যে প্রহসন চালাচ্ছে তার জন্য এই আজকে আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশ।''
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, "কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হলগুলো উদ্বোধন করলেন।আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পরেও প্রশাসন নবীনদের সিট নিশ্চিত করতে না পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে এখনও অবস্থান করছে অছাত্ররা। এসবের দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।"
তিনি বলেন, "এই প্রশাসন কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। তারা নিজেরাই কোনো আইন কানুন এর তোয়াক্কা করে না। এজন্যই একাডেমিক কাউন্সিলের নির্দেশনা ছাড়াই অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে মূলত নিয়োগ ব্যবসা ও প্রশাসনের স্বার্থ হাসিল প্রধান কারণ বলে মনে করছি আমরা"