জাবির বটতলায় খাবারের দোকানে অভিযান, জরিমানা ১০ হাজার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বটতলার হোটেলে নিম্ন মান ও পঁচা-বাসি খাবার খাওয়ানো এবং খাবারের টেস্টিং সল্ট ব্যবহারের অভিযোগে দুই দোকানে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ (সিওয়াইবি) জাবি শাখা। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের ওয়ার্ডেন সহযোগী অধ্যাপক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে প্রত্যেকটি হোটেলের খাবারের মান পরীক্ষা করে দোকান মালিককে সতর্ক করা হয়। এসময় ফ্রিজে পঁচা-বাসি খাবার রাখা এবং খাবারের টেস্টিং সল্ট ব্যবহারের অভিযোগে নুরজাহান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এবং বাংলার স্বাদ রেস্টুরেন্টকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ, জাবি শাখার সভাপতি আরিফ সানা বলেন, 'সিওয়াবি সদস্যদের সাথে নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে একটি ফলপ্রসু অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। ডিসেম্বরের মধ্যে খাবারের মূল্যতালিকা প্রকাশ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল এসেসমেন্ট আমাদের পরিকল্পনায় আছে। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সেমিনার আয়োজন করা হবে। অভিযোগ পেলে দোকানদারদের কমিটমেন্ট পেপারে সাইন করানো হয়। পরবর্তীতে শিক্ষকদের কাছে সিদ্ধান্তের জন্য পাঠানো হয়। দোকানদারদের জন্য জরিমানা একটা বড় ধরণের ওয়ার্নিং হিসেবে কাজ করে।
অভিযান চলাকালীন খাবার খেতে আসা এক শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, হোটেলগুলোর ভেতরের পরিবেশ বা তাদের রান্না করার পদ্ধতি আমাদের পক্ষে তো আমরা জানি না। অনেক সময় গন্ধযুক্ত ভর্তা পরিবেশন করা হয়। এক্ষেত্রে সিওয়াইবি জাবি শাখার নিয়মিত অভিযান খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। এটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
অভিযানের বিষয়ে মো. ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, 'বটতলায় খাবারের মান নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আসে। শিক্ষার্থীরা এসব খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে হল প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আমরা অভিযান চালিয়েছি। প্রত্যেক দোকানে খাবার মান ঠিক রাখতে সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত আমাদের এই অভিযান চলবে। পঁচা-বাসি খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ পেলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাছাড়া খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজ্যুমার ইয়্যুথের নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে সকল হোটেলে খাবারের দাম সমন্বয় করে দেওয়া হবে।'
অভিযানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মওলানা ভাসানী হলের ওয়ার্ডেন মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওয়ার্ডেন পলাশ সাহা, বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক আ জ ম উমর ফারুক সিদ্দিকী, ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষক কাজী মো. মহসিন প্রমুখ।