০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:৫২

মুক্ত প্রাণের আহ্বান নিয়ে অষ্টম বছরে ঢাবি ব্যান্ড সোসাইটি

  © সংগৃহীত

স্পর্ধা আর মুক্তচিন্তার স্পর্শে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখা তরুণদের প্রাণে ব্যান্ড সংগীতের ঐন্দ্রজালিক চঞ্চলতা ছড়িয়ে দেয়া আর ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক ব্যান্ড মিউজিকের পৃষ্ঠপোষকতা করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি (DUBS)।

গত ৪ নভেম্বর শনিবার টিএসসি সুইমিংপুলে অনুষ্ঠিত হলো ডিইউবিএস এর অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের উপস্থিতিতে গল্পে, গানে আড্ডায় ভরে ওঠে সুইমিংপুল প্রাঙ্গন। এই পথচলার স্মৃতিচারণা ও উদযাপনে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি লালন মাহমুদ, প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ফারাবী, ক্লাবের উপদেষ্টা এনায়েত এইচ মনন এবং এম এইচ খান মুন্না। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ডঃ মাহবুবুর রহমান লিটু বলেন ,"অনেক দিবস থাকলেও ব্যান্ড সংগীত দিবস নেই। ডিউবিএস ৪ নভেম্বরকে ব্যান্ড সংগীত দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা ও দেশব্যাপী ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক ব্যান্ড মিউজিক চর্চার অগ্রগতির জন্য কাজ করবে।" 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটির বর্তমান সভাপতি শিবলী হাসান জয় জানান ,"চ্যালেঞ্জিং হলেও নিয়মিত ভিন্নমাত্রার ব্যান্ড সংগীতের আয়োজন,এর চর্চা ও প্রসারের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি বরাবরের মতো উদ্যমী হয়ে কাজ করবে।" 

প্রসঙ্গত প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন চ্যারিটি কন্সার্ট ও ভিন্নধর্মী আয়োজন ও অনুষ্ঠানে সহযোগিতার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তারা দেশের ব্যান্ড মিউজিকের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কেক কাটা,স্মারক বেলুন উড়ানো ও অন্যান্য আয়োজনকে আরো অনিন্দ্য করে তোলে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সজ্জা। 

ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এ.এস.এম কামরুল ইসলাম বলেন ,"বিগত দিনগুলিতে ডিইউবিএস যেভাবে ক্যাম্পাসে কাজ করে আলোড়ন তুলেছে আগামীতেও আমরা তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবো, এই পথচলায় আপনাদের সহযোগিতার হাত সবসময় আমাদের সাথে ছিলো,আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।" অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। বরাবরের মতো সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে ডিইউবিএসকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা রেখে ও এই যাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানটির প্রধান আকর্ষণ ছিলো ডিইউবিএস ডে কন্সার্ট যেখানে ডিইউবিএস পারফরম্যান্স টিম প্রথম পরিবেশনা করে, এরপর ছিলো ব্যান্ড নিভানিয়া, একে রাহুল,কোলস্ল, ওউন্ড, আপেক্ষিক ও মেকানিক্স। এছাড়াও জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মেহরীন মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ডিউবিএস এর জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা জানিয়ে যান। ক্লাবের সদস্যরা ছাড়াও ব্যান্ড সংগীতপ্রেমী তরুণ তরুণীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই সাইকেডেলিক সন্ধ্যায় টিএসসিতে ছড়িয়ে পড়ে সুরের উন্মাদনা ও প্রাণোচ্ছল কোলাহল। সর্বোপরি সব অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে দেশের ব্যান্ড মিউজিককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ও এর প্রসারে সামনের দিনগুলিতে আরো দৃঢ়ভাবে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।