অবরোধের মধ্যে গভীর রাতে চবিতে দুই দফায় ককটেল বিস্ফোরণ
চলমান হরতাল অবরোধের মধ্যে এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে দুই দফায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দফতর ও কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
তবে বিস্ফোরণ স্থলগুলোতে ছিলো না কোনো সিসি ক্যামেরা। তাই কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে চবির নিরাপত্তা দফতরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গতকাল রাতে কে বা কারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ও নিরাপত্তা দফতর এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ জায়গাগুলোতে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি।
চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিভাগে ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, বিএনপি জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল বা শিবির ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা মাঠের শক্তিতে না পেরে রাতের আধারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়েছে। সাহস থাকলে সামনাসামনি আসুক। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত আছি।
চবি ছাত্রদলের সভাপতি ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলাউদ্দিন মোহসীন বলেন, আমাদের জায়গা থেকে এধরনের কাজ করার প্রশ্নই আসে না। আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।
চবি প্রক্টর নুরুল আজিম শিকদার বলেন, আমরা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু জড়িতদের শনাক্ত করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীদের সার্বক্ষণিক তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা হরতাল অবরোধ যারা পালন করছে তারাই এ ধরনের কাজ করতে পারে।