জাবির মূল ফটকসহ ৬ গেটে তালা দিল ছাত্রদল
বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মূল ফটকসহ ছয়টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শাখা ছাত্রদল। পাশাপাশি গেটগুলোতে ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ লেখা ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় গেরুয়া বাজার সংলগ্ন গেটটি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি ছয়টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ছাত্রদলের ৫-৭ জন নেতাকর্মী মোটরসাইকেল যোগে এসে গেইটগুলোতে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় তালার সঙ্গে 'সবার্ত্মক অবরোধ' লেখা সংবলিত ব্যানার ঝুলিয়ে দেন তারা। ছাত্রদলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, জোবায়ের আল মাহমুদ, নাইমুল হাসান কৌশিক, রেজাউল আমিন, সাহানুর রহমান, এম আর মুরাদ, রাজন মিয়া, নিশাত আব্দুল্লাহ, মুত্তাশিন ফুয়াদ, রাজু, আলামিন প্রমুখ।
প্রধান ফটকে দায়িত্বরত আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম ও নিরাপত্তা প্রহরী শাহ আলম জানান, "সকাল সাড়ে সাতটা দিকে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে হঠাৎ করে গেইট বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দেয়। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তালা লাগিয়ে দিয়ে চলে যায় তারা। পরে কন্ট্রোল রুমে জানালে তালা ভেঙে ফেলতে বলে। আধাঘণ্টার মধ্যেই আমরা তালা খুলে দেই।"
তালা ঝুলানোর বিষয়ে জাবি ছাত্রদলের নেতা নাইমুল হাসান কৌশিক বলেন, আমরা আজকের এ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ফাও খাওয়া বন্ধ করে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে তারা তাদের বিগত দিনের অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। দেশের মানুষের এ আন্দোলনে পাশে থেকে তাদের কৃতকর্মের কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করবে। অন্যথায় তাদের রাজপথে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর এস এম এ মওদুদ আহমেদ বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজেই সকালে বের হয়েছিলাম। মীর মশাররফ হোসেন হলের গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখি তালাবদ্ধ। পরে ডেইরি গেটে এসে দেখি সেখানেও তালা মারা ও ছাত্রদলের ব্যানার ঝুলছে। তবে কারা তালা লাগিয়েছে আমাদের চোখে পড়েনি। আমি দ্রুত তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি। কারণ এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রবেশ করবে, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা অফিসকে দ্রুত সবগুলো তালা ভেঙে ফেলতে বলেছি।