মানুষ অগণতান্ত্রিক সরকার চায় না: মাকসুদ কামাল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেছেন, ইতিহাস বলে জনগণ অগণতান্ত্রিক সরকার চায় না। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন তিনি।
মানববন্ধনে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে এ মুহুর্তে আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় ২০১৩-১৪ সালের কথা। যখন দেশে অগ্নি সন্ত্রাস চলমান ছিল। আজকে যখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা আমরা দেখি, তখন তৎকালীন সহিংসতার কথা স্মরণ হয়। এটি পুনরায় হতে যাচ্ছে কি না, সেটা ভেবে আমরা আতঙ্কিত হই।
এ সময় তিনি বলেন, একটি দেশ পরিচালিত হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে, সংবিধানের আলোকে এবং দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক ধারায়। আইনের শাসন এবং সাংবিধানিক শাসনের ব্যতিক্রম কাম্য নয়। এ সময় তিনি সন্ত্রাসের পথ পরিহার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বিএনপির মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে ব্যাহত করা। নির্বাচনকে ব্যাহত করলে অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে। আর তাতে হয়তো বিএনপি জামায়াত কোনোভাবে লাভবান হতে পারে। কিন্তু ইতিহাস বলে, মানুষ অগণতান্ত্রিক সরকার চায় না। সরকার পরিবর্তন হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দেবে। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের চরম শিখরে তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ষড়যন্ত্র করছে বাংলাদেশকে কীভাবে দাবায়ে রাখা যায়। বাংলাদেশকে কীভাবে নির্ভরশীল করে রাখা যায়, সে ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত আছে তৎকালীন সপ্তম নৌবহর পাঠানো দেশ (যুক্তরাষ্ট্র)।
আরো পড়ুন: অবরোধে জবির বাস ভাঙচুর, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন শিক্ষার্থীরা
নীল দলের আহবায়ক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আগামী নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের গৌরবের কথা শোনাবে। কিন্তু বিএনপি যে সহিংসতা শুরু করেছে, যেভাবে পুলিশকে মেরেছে, বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে সামনের নির্বাচনকে বানচাল করার পায়তারা করছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মমতাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি আগে যেমন সহিংসতা করেছে, গত ২৮ তারিখ তার কোনো অংশ কম রাখেনি। আমরা আগে দেখিনি বিচারপতি বাড়িতে আক্রমণ করতে, সাংবাদিকদের পেটাতে, পুলিশের মৃত্যু নিশ্চিত করতে। এ ধরনের ঘটনা তারা বারবারই করবে। তাই শুধু মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করলে হবে না, প্রতিরোধ করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।