৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৫৮

চবি প্রশাসনের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির আন্দোলন ঘোষণা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম ও চরম প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাসহ ২৯ টি অভিযোগ তুলে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদ সাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব অভিযোগ তুলে ধরে সংগঠনটি।

এতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ও আগামী বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল একারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে শিক্ষক সমিতি।  এরপর আগামী বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির তুলে ধরা অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
১. সিন্ডিকেটে ডিন, প্রভোস্ট এবং একাডেমিক কাউন্সিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন না দেয়া

২.বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে  সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত মামলা করে নিয়োগ-বাণিজ্য চক্রের সাথে যুক্তদের খুঁজে বের করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা

৩. বিভিন্ন বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ডে সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউট সমুহের জ্যেষ্ঠ ও খ্যাতিমান শিক্ষকদের বাদ দিয়ে সম্পর্কযুক্ত না হওয়ার পরও বিভিন্ন বিভাগের জন্য প্রশাসন-ঘনিষ্ট কিছু শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী বোর্ড পুনর্গঠন না করা

৪. আবেদনপত্রে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগসহ নানান কারণে বিতর্কিত আবেদনকারীদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দানের জন্য সুপারিশ করা, প্রয়োজন না থাকা সত্বেও ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা অমান্য কতে বিভিন্ন বিভাগ/ইন্সটিটিউটে এড-হক/মাস্টার রোল/দৈনিক ভিত্তিতে গণহারে স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ইত্যাদি

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, আমরা এখানে ২৯ টি বিষয় উল্লেখ করেছি এবং এতে একটার চাইতে আরেকটাকে কম গুরুত্ব দেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এসব অনিয়ম দুর্নীতি চলে আসছে। বিভিন্ন সময় দাবির প্রেক্ষিতে আমাদের আশ্বাস দিলেও তা  পূরণের কোনো উদ্যোগ প্রশাসন গ্রহণ করেনি। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে এবং এক প্রকার অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলা যায়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই আমরা ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। 

তিনি আরো বলেন, আমরা আপাতত ৩ দিনের কর্মসূচি দিয়েছি। এরপরেও সমাধান না হলে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি ও সদস্যদের সাথে কথা বলে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।