রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে ফের স্থগিতাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সকল প্রকার নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের তিন মাসের মাথায় ফের স্থগিতাদেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে নিয়োগ স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম।
এর আগে, ২০২০ সালের ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২টি চিঠি পাঠানো হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়) নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সব ধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
পরে চলতি বছরের ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম জোরদার করার স্বার্থে সব ধরনের নিয়োগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সময় আরেকটি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নতুন নীতিমালা তৈরি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৬তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করে বর্তমান প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, আজকে একটি চিঠি পেয়েছি। এতে নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সেটি স্থগিত করা হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে একটি রিট করা হয়েছিল। আমাদের ইনফরমেশনে একটু ঘাটতি ছিল। এটি মীমাংসা হলে ফের স্থগিতাদেশ উঠে যাবে।
গত ১৯ অক্টোবর বিচারপতি কে. এম. কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের দ্বৈত বেঞ্চ রাবির ফলিত গণিত বিভাগে স্থায়ী প্রভাষক নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দেন।
জানা যায়, রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০২২ এবং প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিশেষ শর্ত (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম থেকে সপ্তম হতে হবে) বাংলাদেশের সংবিধান এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়নি মর্মে ফলিত গণিত বিভাগে প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. আব্দুল আওয়াল হাইকোর্টে একটি রিট (১২৮৯৭/২০২৩) আবেদন করেন। শুনানি শেষে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২২ এবং প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংবিধান ও ইউজিসির নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ দুই মাসের জন্য ফলিত গণিত বিভাগের নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দেন।