ঢাবিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে ছাত্র ইউনিয়নের সংহতি সমাবেশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও নিপীড়নের শিকার ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষে সংহতি সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ছাত্রইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, যারা বলছেন হামাস কেন প্রথম আক্রমণ করেছে তাদের কথায় মনে হচ্ছে হামাস আক্রমণের আগে ফিলিস্তিনে শান্তি বিরাজিত ছিল। অথচ গত সত্তর বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে কাঠামোগত গণহত্যা চলমান। এই অবৈধ জবরদখল ও গণহত্যা চলমান থাকা অবস্থায় একটা জাতীয় মুক্তি আন্দোলনকে তার লড়াইয়ের পন্থা নিয়ে আমরা ছবক দিতে পারি না।
ঢাকা মহানগর সংসদের সদস্য আদৃতা রায় বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যার অভিযোগ দেখা যাচ্ছে পশ্চিমা মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অথচ এগুলোর কোনো প্রমাণ নেই। এগুলো মূলত ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জাস্টিফিকেশন হিসেবে ব্যবহারের জন্য ছড়ানো হচ্ছে। এতে প্রত্যক্ষ অবদান রাখছেন জো বাইডেন, যাকে কখনোই ফিলিস্তিনের মানুষের মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায় না। তিনি বলছেন, হামাসের নৃশসংতা তিনি নিজে দেখেছেন, অথচ মার্কিন গণমাধ্যমই স্বীকার করছে, কোনো ছবি/ভিডিও তাদের কাছে নেই।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক তামজীদ হায়দার চঞ্চলের সঞ্চালনায় ও সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মেঘমল্লার বসু, ঢাকা মহানগর সংসদের সদস্য আদৃতা রায় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আদনান আজিজ চৌধুরী।