৪ মাস সংসারের পর ‘স্ত্রীকে অস্বীকার’ রাবি ছাত্রলীগ নেতার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ে, পরবর্তীতে স্ত্রীকে অস্বীকার ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করেছেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার বিচার চেয়ে ও বৈধ স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মমিনুল ইসলাম মমিন। তিনি সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ফিশারীজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, চারমাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে বিয়ে করেন তারা। এ সম্পর্কের ভিত্তিতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন কাজলায় একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা অবস্থান করেন। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিলে ওই স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগ নেতা। ১ অক্টোবর ভাড়া বাসায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যেতে পরামর্শ দেন।
প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী লিখেছেন, আমি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আপনার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মমিনুল ইসলাম একটা জায়গায় একটা হুজুরকে ডেকে মিথ্যা বিয়ের নাটক করে। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আমাকে নিয়ে বসবাস করে। বিগত চার মাস আমি তার সাথে সংসার করি। কিন্তু কিছু দিন ধরে তার আচার ব্যবহার খুবই খারাপ দেখি এবং সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: জবি কোষাধ্যক্ষ হতে বিতর্কিতদের তোড়জোড়
তিনি আরো লিখেছেন, এই সময় আমার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নাই। কিন্তু সে রাজনীতি করে বলে সেই ভয় আমাকে দেখায়। আমি আপনার কাছে সাহায্য চাচ্ছি। আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন। আমার বাবা পঙ্গু এবং তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আর মা হার্ট অ্যাটাকের রুগী। আমার কোনো অভিভাবক নেই। সেজন্য আমার সাথে ক্ষমতার ভয় দেখায়। মাননীয় বিচারপতি আমি আপনার কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল আমাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করছেন। আমার নামে বিভিন্ন বদনাম ছড়াচ্ছেন এবং নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এটা আমি মানসিকভাবে নিতে পারছি না। আমি এ সম্পর্কের বৈধ স্বীকৃতি চাই। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মমিনুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যে অভিযোগ দিয়েছে, তাকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। আমি এমন কিছু করিনি।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ভুক্তভোগী মেয়ে সকালে এসে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।