০২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৩

দুই পা ভেঙে পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে ঢাবি শিক্ষার্থী, খোঁজ নেই প্রশাসনের

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি ঢাবি শিক্ষার্থী মাহির আল আসিফ মাশরুর   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহির আল আসিফ মাশরুর সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা ভেঙে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার কোনো খোঁজ নেয়া হয়নি।

মাহির ঢাবি স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক।

জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় হাসপাতালে তার এক ছোট ভাইকে দেখতে গিয়ে ফেরার পথে ফেরার পথে মহাখালী ব্রাক ইউনিভার্সিটির পাশে বাইক দাঁড় করানোর সময় দ্রুত গতির একটি বাইক তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে নিচে পড়ে যান। এসময় পাশের একটি সিএনজির সাথে পা লেগে যাওয়ার কারনে ডান পা তৎক্ষনাৎ ভেঙে যায়।  তিনি পরে যাওয়ার পর বাইক তার বাম পায়ের উপর পড়লে তার বাম পাও ভেঙে যায়।

মাহির দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমি আমার এক ছোট ভাইকে দেখে বাইকে চালিয়ে ক্যাম্পাসের দিকেই আসছিলাম। আসার পথে মহাখালী ব্রাক ইউনিভার্সিটির পাশে বাইক সাইড করার জন্য আমি বাম পাশের সিগন্যাল টাও দিয়েছিলাম।  যদিও রাস্তা পুরোটাই খালি ছিলো। হঠাৎ করে অত্যন্ত দ্রুত গতির আরেকটি বাইক এসে আমাকে ধাক্কা দেয়। আমি পড়ে যাই এবং পার্কিং করা একটা সিএনজির সাথে বাড়ি খাই। সাথে সাথে আমার ডান পা টা ভেঙে যায় এবং আমি নিচে পড়ে গেলে বাইক আমার বাম পায়ের উপড় পড়ে এবং বাম পা টাও ভেঙে যায়। এখন আমি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসারত আছি।

এসময় তিনি হল প্রশাসনের প্রতি তার খোঁজ খবর না নেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হল প্রশাসন আছে, হল টিউটর আছে তাদের কাজ কী? একটা শিক্ষার্থী হলে নেই এতদিন ধরে। কেন নেই, কি হয়েছে বা কেন হলে আসছি না এ বিষয়ে কোনো খোঁজ খবর তারা নেয়নি। আমি তো পা ভেঙে হাসপাতালে আমি তাদেরকে কিভাবে জানাবো? জানাতে পারিনি তারাও খোজ নেয়নি।

এসময় তিনি আরও জানান, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত তার সাথে দেখা করেছেন। তার পক্ষ থেকে তিনি যথেষ্ট পরিমাণ সাহায্য করেছেন। নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন।

এ বিষয়ে একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল বাছির ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। আমি গতকাল ছেলেটির সাথে কথা বলেছি। আমি কাজ শেষ করে তাকে আজ দেখতে যাবো। আমাদের হাউজ টিউটর তার খোঁজ খবর রাখছে।