রাজনীতিতে নতুন দল ও নেতৃত্ব প্রয়োজন: আবুল কাসেম ফজলুল হক
শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপি, ভারতে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে এখন শৃঙ্খলা নেই। সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে এখন নির্বাচনতন্ত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটার এখন পরিবর্তন দরকার। তরুণরা এখন নতুন নেতৃত্ব চায়। তাই বর্তমানে নতুন নেতৃত্ব, নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘আজকের বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। তাঁর ৮৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসঙ্ঘ।
দীর্ঘ জীবনের স্মৃতিচারণ করে অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘দারিদ্র্য সবচেয়ে বড় ব্যাধি। ছোটবেলা থেকে আমি নানা বিপর্যয় দেখেছি। দারিদ্র্য আমাকে সবচেয়ে পীড়া দিয়েছে। তখন আমি ভেবেছি, অন্যায্যতার জায়গায় ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্র যদি কাজ করে তাহলে এটি ভালোর দিকে যেতে পারে। বর্তমানে সেইরকম দারিদ্র্য নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণে অগ্রগতি হয়েছে। উচ্চ ফলন বেড়েছে, ভালো কাপড় পড়েই মানুষ থাকছে। পুরো পৃথিবীতে সেটি হয়েছে। তবে এযাবতকালে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নানা ধারণা তত্ত্ব, মতবাদ এলেও মানুষের মনোজগত সবসময় উপেক্ষিত থেকেছে। মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন না হলে পরিত্রাণ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা উচিত। দেশের মানুষ এখন নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব চায়। আমি এটি অনেক বছর ধরে দেখেছি। আমি ২৮ দফা দিয়েছি, এরসঙ্গে অনেকে একমত হয়েছেন। এরফলে আমি যেটা দেখেছি, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে তরুণরা নতুন দল চান।
বাংলাদেশ জাগরণী শান্তিসঙ্ঘের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আবুল কাসেম ফজলুল হকের সহধর্মিনী ফরিদা প্রধান, তাঁর কন্যা শুচিতা শারমিন, পুত্রবধূ রাজিয়া রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, কবি সোহরাব হোসেন, লেখক মুস্তাক হোসেন, কবি হাসান ফকরী প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সৈয়দা নাজনীন আখতার।