প্রশাসনের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে চবিতে মানববন্ধন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রশাসনের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন আইমুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেনে হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের একটা অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বাসভবন, পরিবহন দপ্তর এবং পুলিশ বক্সে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৪ জন শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাতনামা প্রায় ১০০০ জনকে আসামী করে ২টি আলাদা মামলা দায়ের করে। চাঁদাবাজি এবং ভিসির বাসভবন ভাঙচুর মামলায়, ব্যাংকিং ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন আইমুন কে ১নং আসামি করা হয়।
বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী কৌশিক খান আকিব বলেন, ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র হিসেবে আমি শাকিলকে যতদূর চিনি, এরকম গর্হিত কাজের সাথে সে কোনভাবেই সম্পৃক্ত থাকতে পারে না। আমরা ব্যাংকিং বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি জানাই, সুষ্ঠু তদন্তের প্রেক্ষিতে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং শাকিলের মতো নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের যথাশীঘ্র সম্ভব উক্ত মামলা থেকে নিষ্পত্তি দেয়া হোক।
২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মারুফ ইসলাম শাকিল বলেন, ছোট ভাই শাকিল হোসেন আইমন কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। অত্যন্ত আন্তরিক, মেধাবী ও শিক্ষানুরাগী ছেলে। তার নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার মাধ্যমে প্রশাসন যে খামখেয়ালিফনার পরিচয় দিয়েছে তা মোটেও মেনে নেওয়ার মত না। আমার ও আমাদের ছোট ভাইদের দাবি একটাই, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাকে সহ অন্যান্য নিরপরাধীদের যেন অতিসত্বর মামলা থেকে নিষ্পত্তি দেওয়া হয় এবং সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়।
শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন শেষে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে সাক্ষাৎ করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন। জবাবে প্রক্টরিয়াল বডি শিক্ষার্থীদের সাথে একমত পোষণ করেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, শাকিলের মত নিরাপরাধ শিক্ষার্থী হেনস্তার স্বীকার হবে নাহ। শিগগিরই তদন্তে কমিটিতে এই বিষয় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।