২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২৮

প্রেমিকা নয়, স্ত্রীর অবহেলায় ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যা — দাবি সহপাঠীর

ঢাবি শিক্ষার্থী ফিরোজ ।   © টিডিসি ফটো

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১ টায় চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী (২০১৯ -২০) কাজী ফিরোজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ব্লক থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবেই ভাবা হচ্ছে। তার আত্মহত্যার কারন নিয়ে এবার সরব হয়েছে ফিরোজের বিভাগের সহপাঠি জান্নাতুন নাহার। তিনি দাবি করেছেন তারা গোপনে বিয়ে করেছিলেন।  

আজ বৃহস্পতিবার রাত ৭ টায় তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসে এই দাবি করেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।  

‘আমার ভাই কাজী ফিরোজ গতকাল রাত আনুমানিক ১২:৫০ নাগাদ এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে। এটা নিয়ে আমরা সবাই শোকাহত, আমাদের মনের অবস্থা কী তা আল্লাহ ই ভালো জানেন। পড়াশোনার কারণে চায়নায় অবস্থান করছি জন্য, তাকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারিনি।

ফিরোজের হৃদস্পন্দন থমকে গেলেও, থেমে যায়নি কিছু মানুষের জাজমেন্টাল কুরুচিপূর্ণ মতামত। আমরা যে এতো কথা বলি একে-অপরকে নিয়ে, কতটুকু জানি আমরা তাদের? কতটুকুই বা চিনি তাদের? যে মেয়ের জন্য একটা নিষ্পাপ জীবন চলে গেলো, তাকে নিয়ে না বলে, বলছি প্রেমবিচ্ছেদের কারণেই নাকি তার জীবন চলে গিয়েছে। তথচ অন্যদিকে মেয়েটি আমার ভাইকে গোপনে বিয়ে করে দিব্যি অন্য ছেলের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বামী যখন দেখে তার বউ অন্য ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেখানে তার কী করণীয়? কিন্তু আপনি যখন কাউকে আপনার সাথে যোগাযোগ করার সব রাস্তা বন্ধ করে দিবেন, তাকে ইগনোর করবেন, তার বাবা-মা যদি আপনার সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে তাহলে আপনি তাদের অপমান করবেন। আসলে মানুষ সব সইতে পারে, কিন্তু আত্মসম্মানে আঘাত কেউ মেনে নিতে পারে না। তাই বলে আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়, আমি ফিরোজের এই কাজকে সমর্থন করছি না, কিন্তু যে মেয়ে তাকে বিয়ে করে দিব্যি ৫-১০ টা ছেলে নিয়ে হাসিতামাশায় মেতে উঠছে তার যথাযথ শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, সত্যি জানুন, না জেনে অন্যকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন’।