২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:৪২

জাবি উপাচার্য পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন- শিক্ষক ফোরাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় লোগো।   © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের একাংশ। গতবছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে ‘অনৈতিক প্রভাব বিস্তারের’ অভিযোগ করেছে বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। একইসাথে এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। সম্প্রতি যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির ও কঠোর শাস্তি দাবি করে শিক্ষক ফোরাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে অনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত একজন শিক্ষক উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন বলে নিজেই স্বীকার করেছেন।’

উল্লেখ্য সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনির অনুগ্রহে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম চেয়ারে বসেছেন- এমন একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। এছাড়া সেই অডিওতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়।

শিক্ষক ফোরাম উপাচার্য নিয়োগে অনৈতিক প্রভাবের অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুরাহা করার জন্য রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

এছাড়াও উপাচার্যকে মাহমুদুর রহমান জনির গালিগালাজের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় , জনি অত্যন্ত অশালীন ও দায়িত্ব-জ্ঞানহীন ভাষায় উপাচার্যকে গালাগালি করেছেন। এই শিক্ষকের 'অসংলগ্ন' কর্মকাণ্ডে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। এ ধরণের অগ্রহণযোগ্য আচরণের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশায় কালিমা লেপনের পাশাপাশি পুরো দেশের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে হেয় করা হয়েছে।

জনির শাস্তি দাবি করে বলা হয়, ‘ইতিপূর্বে প্রশাসনপন্থী একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উত্থাপিত হলেও সুষ্ঠু সুরাহা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। তাই উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নৈতিক অসচ্চরিত্রতার (moral turpitude) অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ অনুসারে অবিলম্বে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

উল্লেখ্য ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই ঘটনার এখনো বিচার হয়নি।