১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:০১

ঢাবিতে ‘তারুণ্যের ভোট-ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘সহিংসতা বিরোধী তারুণ্য : অধিকার, উন্নয়ন ও ভোট ভাবনা’—শীর্ষক একটি বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন অব সুন্দরগঞ্জ (ডুসাস) এর আয়োজনে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনন্দ শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস আফরুজা বারী। এছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ সভাপতি আবু তাহের মিয়া, ঢাবির গণিত বিভাগের শিক্ষক জসিম উদ্দিন, ডুসাসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান সুমন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হাসানুর রহমান হাসু প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডুসাসের সভাপতি সাগর আহমেদ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আফুরুজা বারী বলেন, আমাদের সুন্দরগঞ্জের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে জনপ্রতিনিধি না হয়েও আমি ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা, রাস্তাঘাট, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, ইদগাহ মাঠ চরাঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ঘোড়া বিতরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য বিনামূল্যে টিউবওয়েল বিতরণ, বিনামুল্যে চক্ষু সেবা প্রদানের জন্য ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদেরকে বিনামুল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ ও শারীরিক প্রতিবন্ধিদের চলা ফেরার স্বার্থে হুইলচেয়ার বিতরণসহ এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে নিজস্ব তহবিল হতে অনুদান প্রদান করেছি যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ঈদের সময় ঢাকা শহরে যত শিক্ষার্থী আছে তাদের বাড়ি যাওয়ার জন্যে আমি একটি জাহাজের ব্যবস্থা করবো। আমার শিল্প কারখানায় আমি অর্ধশিক্ষিতদের চাকরির ব্যবস্থা করবো। শিক্ষিতদের জন্যেও ব্যবস্থা থাকবে। সুন্দরগঞ্জে আইটি সেন্টার তৈরীর জন্যে কাজ করতে হবে। মহিলারা ঘরে ঘরে কুটির শিল্প স্থাপন করতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের অঞ্চলে জামায়াতের অনেক লোকজন আছে। তারাও কিন্তু মানুষ, তবে তাদের মধ্যে কিছু দুষ্ট লোক আছে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। তাদের পরে যারা জন্ম নিয়েছে, তাদের আমাদের কাছে টেনে নিতে হবে। সুন্দরগঞ্জের মানুষ অনেক ভালো মানুষ। বাংলাদেশের কোথাও সুন্দরগঞ্জের মানুষের মত ভালো মানুষ কেউ নাই। 

আফরুজা বারী বলেন, আমি যদি এমপি হই, আমি সবার জন্যে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন করব। সুন্দরগঞ্জের মতো এত সম্পদ উত্তরাঞ্চলের আর কোথাও নেই। আমাদের দুটি বড় চরাঞ্চল আছে। এসব এলাকায় কাজ করে পর্যটন শিল্পের বড় উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। এইসব কাজ তোমাদেরই করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করতে হবে। 

এ ছাড়াও মতবিনিময় সভায় বক্তারা অবহেলিত সুন্দরগঞ্জের উন্নয়নে তরুণ সমাজের করণীয়, চিন্তাগত উৎকর্ষ সাধন, অধিকার আদায়ে সচেতনতা সমন্ধে বক্তৃতা দেন। সভায় সুন্দরগঞ্জ থেকে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, অধিভুক্ত সরকারী সাত কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়।