১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪০

চবি শাটলের বগি বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসনের দাবি শিক্ষার্থীদের

চবি শাটলের বগি বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে  © টিডিসি ফটো

শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

ছাত্র ইউনিয়ন চবি সংসদের সভাপতি প্রত্যয় নাফাকের সভাপতিত্বে ও শাখা পিসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক অন্বেষ চাকমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন পিসিপির সভাপতি নরেশ চাকমা, ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সুদীপ্ত চাকমা, দপ্তর সম্পাদক ইফাজ উদ্দিন আহমদ ও সদস্য সোহেল রানা, সুকি কুমার তন্চঙ্ঘা। 

এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি শাটলের বগি বৃদ্ধি কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে কয়েক দফায় ভিসি ও প্রক্টর পরিবর্তন হলেও শাটলের বগিগুলোর কোনো পরিবর্তন নেই। একই সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে আবাসিক হলেও কোনো নতুন সিট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না। দুটি হল তৈরি করা হলেও উদ্বোধনের কোনো খবর নেই। যা খুবই দুঃখজনক।

সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি প্রত্যয় নাফাক বলেন, আমরা শাটলের বগি বৃদ্ধি এবং বন্ধ হয়ে থাকা হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে মাঠে নেমেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয় ২০১৫ সালে এবং ২০১৬ সালে উদ্বোধন করা হয় অতীশ দীপঙ্কর হলের নির্মাণ কাজ। উদ্বোধনের প্রায় ৯ বছর পরও হল দুটি চালু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নরেশ চাকমা বলেন, আমাদের আবাসন সংকট নিরসন হলে শিক্ষার্থীদের টিউশনি করতে শহরে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। অতিরিক্ত ঘর ভাড়া দিতেই তাদের টিউশনি করাতে হয়। আর শাটলে পর্যাপ্ত বগি থাকলে এরকম দূর্ঘটনাটাও ঘটত না।

লোক প্রশাসন বিভাগের ১৯-২০ সেশনের  শিক্ষার্থী সুকি কুমার তন্চঙ্ঘা বলেন, গত ৭ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের জানিয়ে আসা দাবিগুলো মেনে নিতেন, তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অনতিবিলম্বে শাটল ট্রেনের বগি বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন  করতে হবে।