ঢাবি শিক্ষার্থীদের আঘাত করে কেউ রেহাই পাবে না: ভিসি আখতারুজ্জামান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের আঘাত করে কেউ রেহাই পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এসময় তিনি এই নির্যাতনকে ফৌজদারি অপরাধ উল্লেখ করে এর বিচার দাবি করেন।
আজ সোমবার একটি বেসরকারী হাসপাতালে আহত ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম কে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বেধড়ক মারধর করেন পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ। মারধরের শিকার তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান । উক্ত ঘটনায় এই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং সেই শিক্ষাির্থী অমানবিক আচরণের শিকার হবে এবং কেউ তার উপর এ ধরনের আঘাত করবে আর রেহাই পেয়ে যাবে, সেটি হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জোরালো দাবি থাকবে, সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি, আইন যেন তার নিজস্ব গতিতে চলে। যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেটা এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ। এটির বিচার হওয়া খুবই জরুরী।
খুবই অনাকাঙ্খিত ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী খুবই অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার হলো। এটি খুবই অমানবিক। যারা এটা ঘটিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কোনো পেশাদারিত্বের বহিঃপ্রকাশ রাখেননি। যা অপেশাদারি, অমানবিক আচরণ। কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। এটি অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে সুষ্ঠু বিচার হওয়া বাঞ্চনীয়।
দেশে এখন আইনের শাসন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনহীনতার সংষ্কৃতি থেকে ,বিচারহীনতার সংষ্কৃতি থেকে দেশ এখন বেরিয়ে এসেছে। সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, জোরালো দাবি থাকবে, এটি যেনো যথ্যথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
এটা একধরনের ফৌজদারী অপরাধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে আঘাত করা, তার অঙ্গহানী ঘটানো, নানাভাবে এগুলো করা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যে পেশাদারিত্বর জায়গায় সম্মানজনক জায়গায় পৌছেছে। সুতরাং কোনো একজন সদস্য এ ধরনের অপকর্ম, অপেশাদার সুলভ আচরণ এর জন্য সমগ্র পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ,মর্যাদা ক্ষুন্ন হবে, আশা করি সেটি সরকার ও চাইবেনা। সে কারনে সে বিষটির মর্যাদা রেখেই এগুলোর বিচার হওয়া খুবই জরুরী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের সাপোর্ট দিবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা এই শিক্ষার্থীর জন্য থাকবে। সেটির চেয়ে বড় কথা হলো যে এ বিচার যেনো দৃষ্টান্ত হয়। এটি পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে খুব জরুরী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের কোনো সদস্য কোনো অমানবিক আচরণের শিকার হলে কোনো ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের শিকার হলে তাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় দৃঢ় অবস্থান থাকে। এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।
কে কোন সংঘঠনে আছে ,কে কতো ক্ষমতাশালী, সে কোন পরিবার থেকে আসলো সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হয়েছে তার সাথে আমরা থাকবো।