বিভাগীয় পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জাবির দুই কর্মচারী বরখাস্ত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের সম্মান চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অপরাধে বিভাগের দুইজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীরা হলেন বিভাগের সিনিয়র সর্টার (গ্রেড-৩) শহিদুল ইসলাম ও সিনিয়র সর্টার (গ্রেড-১) মোহাম্মদ আলী আশ্রাফ।
গতকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেটে এ ঘটনায় ইতোপূর্বে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় দায়-দায়িত্ব পর্যালোচনাপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রো-ভিসি (শিক্ষা)-কে প্রধান ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) মাহতাব-উজ-জাহিদ কে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
স্থগিত পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে বলেন, পূর্বের পরীক্ষা কমিটি বাতিল করে নতুন পরীক্ষা কমিটি গঠন করে স্থগিত বাকি পরীক্ষা নিতে বলা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জাহিদ মোস্তফার সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে ও পরবর্তীতে অনুষ্ঠিতব্য বাকি পরীক্ষাগুলো তিনি দিতে পারবেন না। তার শাস্তির ব্যাপারে তদন্ত কমিটিকে সুপারিশ করবে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রসায়ন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার টপিকস ইন বায়োকেমেস্ট্রি নামে ৪৩৩ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার উত্তরপত্র নিয়ে প্রবেশ করার অভিযোগে খাতা বাতিল করা হয় অভিযুক্ত জাহিদ মোস্তফার। পরে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি আলোচনায় আসলে বিভাগ কর্তৃক ১৩ জুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।