হিজাব বিতর্কের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দিলেন ঢাবির আইইআরের ২৭ শিক্ষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩য় বর্ষের মৌখিক পরীক্ষায় হিজাব ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন ইনস্টিটিউটের ২৭ শিক্ষক। একই সাথে এই ঘটনা বিকৃতভাবে প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ইনস্টিটিউটের আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ আইইআর বিভাগের ২৬তম ব্যাচের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন একটি বোর্ডে তিনজন সহকর্মী ১৫ জন শিক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। আইইআর-এর ২৬ তম ব্যাচ থেকে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর প্রদান করা হয়। ২৫তম ব্যাচ পর্যন্ত সন্তোষজনক বা সন্তোষজনক নয় হিসেবে ফলাফল দেওয়া হতো। বিশ্ববিদ্যালয় ও আইইআরের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এতে বলা হয়, পরীক্ষায় যে কোনো শিক্ষার্থীকে শনাক্তকরণ শিক্ষকদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য। উপরন্তু শিক্ষার্থীদের ৩য় বর্ষের মাইক্রোটিচিং সিমুলেশন কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। শিক্ষার্থীরা ৩য় বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা শেষে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের পাঠদান (প্র্যাকটিস্ টিচিং/ইন্টার্নশিপ) করবে। সে কারণে তাদের পাঠদানের যোগ্যতা ও যোগাযোগ দক্ষতা পর্যবেক্ষণ জরুরি। ফলে তাদের মুখমণ্ডল অনাবৃত করতে বলা হয়। সুতরাং বিষয়টি সম্পূর্ণ একাডেমিক ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের জায়গা থেকে নিয়ম অনুযায়ী করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হওয়ার একমাস পর বিষয়টি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে; সকলের সাথে উক্ত শিক্ষার্থীর ঐ দিন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছাত্রীর ভাইভা নেওয়া হয়নি বলে যা প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার; কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হয়নি। উক্ত ছাত্রী সম্পূর্ণ আচ্ছাদিত থাকায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষাটি নেওয়ার জন্য মুখের কাপড়টি সরাতে বলা হয়েছিল। বুঝিয়ে বলার পরে সে সেটি করেছিল; উক্ত ভাইভা বোর্ডে পোশাক পরিচ্ছদ ও পর্দা নিয়ে কোনো ধরনের কথা হয়নি। তাই আমরা মিথ্যা রটনার তীব্র নিন্দা জানাই।