২৮ আগস্ট ২০২৩, ১৫:৪০

২ কর্মকর্তাকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর, পানি-বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের হুমকি

  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু মুন্সির বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এসময়ের মধ্যে বিচার না পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক।

জানা যায়, গতকাল রবিবার ক্যাম্পাসে কাটা পাহাড় সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে আসার সময় মারধরের শিকার ও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ করেন প্রধান প্রকৌশলী ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল। অন্যদিকে, আজ সোমবার সকালে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক।

ভুক্তভোগী প্রধান প্রকৌশলী ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, কাটা পাহাড় এলাকায় সাইট পরিদর্শনকালে রাজু মুন্সি আমার দিকে এগিয়ে এসে আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং পরবর্তী সময়ে রেজিস্ট্রার অফিসের সামনেও অসংখ্য লোকের সামনে আমাকে মারতে এগিয়ে আসে। উপস্থিত লোকজন না থাকলে আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ক্যাম্পাসে মানসম্মান নিয়ে চলা দায়। তাদের নানা দাবি-দাওয়া থাকে। তিনি দুইদিন আগেও একটি প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেন। আমি বিষয়টা প্রক্টরকে অবহিত করেছিলাম। 

চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাজু মুন্সি সকালে আমার অফিসে এসে এক প্রহরীকে বলে আমি যেন তার জন্য ১০ হাজার টাকা রেডি রাখি। ৩০ মিনিট পরে এসে সে বলে, এখান থেকে বেরিয়ে যা, নাহলে তোকে মারব। সে উত্তেজিত হয়ে গেলে আমি সেখান থেকে প্রক্টর অফিসে এসে বিষয়টি জানাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজু মুন্সি বলেন, তারা দুইজন (প্রকৌশলী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা) বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি প্রতিবাদ জানানোয় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। আমার প্রতিবাদের ভাষা একটু বাজে।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ দিয়েছে সমস্যা নাই। আমি তো জামায়াত-শিবির, বিএনপি না। আমার নামে অভিযোগ সামনে আরও হবে। আমাকে পুলিশে নিয়ে গেলে শেখ হাসিনা ফোন দিয়ে ছাড়াবে৷ আমি শেখ হাসিনার রিসার্ভ ফোর্স। নির্বাচনে আমাকে কাজে লাগবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম নুর আহমদ বলেন, এ বিষয়ে উপাচার্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।