আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
জলবায়ু সচেতনতা স্লোগান নিয়ে ‘হায়দরাবাদ ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথনে’ অংশ নিতে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাদেক। জলবায়ু সচেতনতা বাড়ানো ও একটি সুন্দর পৃথিবীর আশায় এই ম্যারাথনে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তিনি।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল ৪:৩০ মিনিটে ভারতের হায়দারাবাদ শহরে এ এনএমডিসি হায়দরাবাদ ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথনে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ সাদেক আন্তর্জাতিক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল সেন্টার ফর ইনোভেশন অ্যান্ড লার্নিংয়ে (জিসিএফআইএল) বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। প্রতিষ্ঠানটির হয়ে তিনি বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে জলবায়ু সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্কুলশিক্ষার্থীদের জলবায়ু সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়া, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে দেশের ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংগঠনের শাখা রয়েছে।
সাইফুল্লাহ সাদেক দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর পেশাগত কাজের পাশাপাশি ম্যারাথনের সঙ্গে যুক্ত। একজন অ্যাথলেট হিসেবে দেশীয় ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন হাফ ম্যারাথন ও ফুল ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন।
এবারের ম্যারাথনে তাঁকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এডুসেন্ট্রিক ও ট্রাভেলপ্লিজ, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে চ্যানেল আই অনলাইন। এ ছাড়া কমিউনিটি পার্টনার হিসেবে আছে জিসিএফআইএল জলবায়ু ক্লাব ও ঢাবি রানার্স কমিউনিটি।
সার্বিক বিষয়ে সাইফুল্লাহ সাদেক বলেন, ‘নিয়মিত দৌড়ানোর মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মানসিক ও শারীরিক উভয় ফিটনেস উন্নত থাকে, যা মানুষের কর্মস্পৃহা, ইতিবাচক মনোভাব, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের যেকোনো পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করাটাও অত্যন্ত গর্বের বিষয়।’
এনএমডিসি হায়দরাবাদ ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন ভারতের বৃহত্তম ও চ্যালেঞ্জিং ম্যারাথনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ বছর এটির ১২তম সংস্করণে ২১ হাজারের বেশি দৌড়বিদ অংশগ্রহণ করছেন। ফুল ম্যারাথনে প্রতিযোগীকে ৪২.১৯৫ কিলোমিটার, হাফ ম্যারাথনে ১০ কিলোমিটার এবং মিনি ম্যারাথনে ৫ কিলোমিটার দৌড়াতে হবে। ফুল ম্যারাথনে প্রতিযোগীরা হোসেন সাগর লেকে ১০ কিলোমিটারের চক্কর শেষে হায়দরাবাদ শহরের বিভিন্ন উঁচু-নিচু পাহাড়ের মতো চ্যালেঞ্জিং ট্র্যাকে দৌড়াবেন। এসময় প্রতিযোগীরা শহরটির বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শন করবেন।