ঢাবির এফ রহমান হলের ঘটনায় নৈতিকতাবিরোধী কাজের প্রমাণ পায়নি কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মো. কামরুল হাসান শুভর নারী অতিথিকে নিয়ে গেস্ট রুমে প্রবেশের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নৈতিকতা বিরোধী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি বহির্ভূত কোন কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পায়নি বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ’র নামে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে। এতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতিবাদ জানিয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা জয়েছে, গত ১১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মো. কামরুল হাসান শুভ’র একজন নারী অতিথিকে নিয়ে হলের গেস্ট রুমে প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে হল প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উক্ত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নৈতিকতা বিরোধী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি বহির্ভূত কোন কর্মকান্ডের প্রমাণ পায়নি জানিয়ে আরও বলা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী উক্ত শিক্ষার্থী হলে প্রবেশ করেছে ভোর ৫টা ৩৪ মিনিটের পরে (অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পরে)। তা সত্ত্বেও কতিপয় পত্রিকা বর্তমান সরকার ও প্রশাসনের বিরোধীতা করতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হল প্রশাসন বিশেষকরে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানকে কুরুচিপূর্ণভাবে আক্রমণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশালীন ও যুক্তিহীন মন্তব্য করেন যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত।
এ বিষয়ে গত ২২ আগস্ট হল প্রশাসনের সভায় নিন্দা জ্ঞাপন ও প্রতিবাদ জানানো হয়। হল প্রশাসন মনে করে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ গর্ব ও অহংকারের স্থান। তাই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কোন খবর প্রকাশের পূর্বে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা প্রয়োজন। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে গণমাধ্যম এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন।