প্রক্সিকাণ্ডে বহিষ্কৃত রাবি ছাত্রলীগ নেতার ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকায় সদ্য বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীকে অর্থের বিনিময়ে অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমে ভর্তি হতে সহায়তাকারী প্রাক্তন ছাত্র মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করার নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম ও প্রক্সি দিয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মা রেহেনা বেগম মুশফিক আহমেদ তন্ময়ের নাম উল্লেখ নগরের মতিহার থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক তন্ময়ের নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে জানান, "যেহেতু তার ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। তাই তাকে বহিষ্কার করা সম্ভব না। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়েছে। পুলিশ যেকোনো সময় তাকে গ্রেফতার করতে পারে। তাই সে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে না পারে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিক তাহমিদ প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৭ সালে। সেবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদক অধিশাখার গোপন প্রতিবেদনের তালিকায় তার নাম আসে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ৪৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে শনাক্ত করে এই প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এই তালিকার ১৬ নম্বরে তন্ময়ের নাম ছিল।
আরও পড়ুন: ‘প্রক্সিকাণ্ডে আত্মহত্যার’ ঘোষণা দেয়া ছাত্রলীগের তন্ময় আরও একবার বহিষ্কার হয়েছিলেন
এসময় তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হিসাব সামনে আসে। তাতে দেখা যায়, ২০১৬ সালে ২০০ টাকা জমা দিয়ে রাবির অগ্রণী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলেন তন্ময়। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নাম ‘মুশফিক তাহমিদ তন্ময়’। এই অ্যাকাউন্টে ২০১৭ সালের ৭ই মার্চ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত তার হিসাবে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৮ টাকা জমা হয়। এ টাকা দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেছে। তবে সব টাকা তিনি তুলে নেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর আমি ব্যাংক অ্যাকাউন্টটি খুলি। এতে ম্যাক্সিমাম টাকা আমার এক ফ্যামিলি থেকে ঢুকতো। আমি সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করি। সেটা কি আপনারা জানেন? তবে তিনি কী ধরনের ব্যবসা করেন এমন উত্তরে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।