শেখ হাসিনাকে রক্ষা করবে দেশের জনগণ: রাবি উপাচার্য
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল নেতাকর্মীরা, এখন রক্ষা করবে দেশের জনগণ। তাঁকে দিয়ে ভালো কাজ হচ্ছে এবং হবে; এজন্যই তিনি বেঁচে আছেন।
২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকা অপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। সোমবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ২০০৪ সালে দেশের মানুষ যখন শেখ হাসিনার উপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন তখনি এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড গ্রেনেড হামলা চালায় মৌলবাদী বিএনপি সরকার। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর শেখানো পথ দিয়েই হাঁটছেন। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের হামলা থেকে আল্লাহ নিজে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। জনগণের হৃদয়ের উত্তাপ থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম। এসময় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, এই আগস্ট মাসেই ইতিহাসের চরম নির্মমতাগুলো সংগঠিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। এ মাসে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য ইতিহাসের সবথেকে জঘন্য হত্যাকাণ্ড গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলায় জীবন দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীকে। সৃষ্টিকর্তার বিশেষ কৃপায় বেঁচে গিয়েছিল আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কর্মকাণ্ডে জড়িত তারেক রহমানসহ সকলকে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, দেশকে মেধা ও নেতৃত্ব শূন্য করতে তৎকালীন মৌলবাদী জামায়াত-বিএনপির জোট সরকার যে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল সে ঘটনায় ২৪ জনকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। দেশকে পাকিস্তানি পন্থায় দেশকে পরিচালনা করতে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। গ্রেনেড হামলায় যারা আহত হয়েছিল তাদেরকে চিকিৎসা সেবাও নিতে দেওয়া হয়নি যাতে তারা রাস্তায় মারা যায়। এই ছিল তৎকালীন জোট সরকারের ঘৃণ্য রাজনীতি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে যখনি নির্বাচন আসে তখন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আরও বেগবান হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসলে আজানের ধ্বনি শুনা যাবে না এমন সব মিথ্যাচার চালানো হয়। বাংলাদেশে থাকতে হলে দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। এসময় সকলকে বিচারের কাঠগড়ায় আনতে সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক পুরণঞ্জিত মহালদার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ছাত্র উপদেষ্টা ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।