১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৮:১৪

নির্বাচনে সাংবিধানিক বিধান সমুন্নত রাখার আহবান ঢাবি ভিসির

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা  © টিডিসি ছবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক বিধিবিধান ‘সমুন্নত’ রাখার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সাংবিধানিক কাঠামোর আলোকে শাসনব্যবস্থা পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করতেন। এ কারণেই তিনি দ্রুততম সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন।… আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাংবিধানিক বিধিবিধান সমুন্নত রাখতে হবে।

আজ মঙ্গলবার টিএসসিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ৪৮তম বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ মত ব্যক্ত করেন।

বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে তিনি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি বলতেন, ‘দেশকে উন্নত করতে হলে দক্ষ মানবসম্পদের কোনও বিকল্প নেই’।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞাননির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-দর্শন নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজের কাছে পৌঁছে দিতে ‘বঙ্গবন্ধু চর্চা’ বাড়াতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এই আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী, মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মাদ আবু কাওছার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বক্তব্য রাখেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্যের আগে ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান ভবন ও হলগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন করেন। তিনি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ‘স্মৃতিতে অম্লান মহানায়ক’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

জোহরের নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ অগাস্টে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার।