১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৯:১৯

ঢাবির মৈত্রী হলের ৩০০ ছাত্রীকে স্থানান্তরের দাবি

তিন দফা দাবিতে কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে আসন সংকট নিরসনে তিনশত ছাত্রীকে অন্য হলে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

রোববার  (১৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।  এ সময় তারা দাবি আদায়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুর একটায় ভিসি চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা যে তিনটি দাবি তুলে ধরেন তার মধ্যে রয়েছে, মৈত্রী হল থেকে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করা, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী অ্যালোট দেওয়া এবং মূলভবনের প্রতি রুমে ছয় শিক্ষার্থীর বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

আরো পড়ুন: কোচিংয়ের আড়ালে ১৬ বছরে ১০ বার মেডিকেলে ভর্তির প্রশ্নফাঁস

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতিবছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয়মাসের মধ্যে বৈধ আসন পাওয়া গেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও আসন পাচ্ছে না। এর পাশাপাশি ২০২০-২১, ২১-২২, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সবার আসন অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।

তারা আরও বলেন, হলের মূল ভবনে পাঁচটি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক চার হাজার টাকা প্রদান করে অবস্থান করেন কিন্তু তাদের জন্য মাত্র তিনটি ওয়াশরুম রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫ টি অতিথি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে এবং তাদের জন্য মাত্র ২টি ওয়াশরুম আছে। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। 

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান  বলেন, আমাদের অনেকগুলো সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটি হলো শিক্ষার্থীদের আসন দিতে না পারা। আমি মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে হল পরিদর্শন করেছি। তাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। তাছাড়া তাদের একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে তাদের সেখানেও অবস্থান করতে হচ্ছে। আগামী বছর থেকে মৈত্রী হলের আসন কমিয়ে দিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা আমাদের কাজ পরিচালনা শুরু করেছি।