বিতর্কিত উপাচার্যকে ইমেরিটাস অধ্যাপক বানানোর চেষ্টা, জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিতর্কিত সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবিরকে ইমেরিটাস অধ্যাপক বানানো এবং যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির দায়মুক্তির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ট্রান্সপোর্ট চত্বর থেকে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় খুনিদের আশ্রয়দাতা ইমেরিটাস হতে পারে না ও যৌন নিপীড়ক জনির দায়মুক্তির অপচেষ্টা চলবে না বলে স্লোগান দেন মিছিলে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়েরের হত্যাকারীরা উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদ পেয়েছিল। তিনি উপাচার্য থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসে একটা মাৎস্যন্যায় অবস্থা বিরাজ করছিলো। তিনি পুনরায় ইমেরিটাস অধ্যাপক হলে একটা নজির তৈরি হবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবার ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে শরীফ এনামুল কবিরের মতো একজন বিতর্কিত ব্যক্তির লিগ্যাসি বহন করতে আমরা লজ্জাবোধ করব।
আরও পড়ুন: রাবিতে ৭০ বছরে ৪০ শতাংশ আবাসিকতাও নিশ্চিত হয়নি
যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিষয়ে তিনি বলেন, পাবলিক হেলথ বিভাগের শিক্ষক জনির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ থেকে তাকে দায়মুক্তি দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। আমরা চাই এ প্রচেষ্টা যেন সত্যি না হয়৷ তার প্রাপ্যতা অনুসারে যেন তাকে বিচার করা হয়৷
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির ২০০৯ সাল থেকে প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, ছাত্রলীগের ‘একটি অঞ্চলভিত্তিক’ অংশকে মদদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া ছাড়াও নানা অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার ‘মদদপুষ্ট’ হিসাবে পরিচিত ছাত্রলীগ নেতাদের হামলায় সংগঠনটির অন্য অংশের কর্মী ও ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ নিহত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে ওঠে। এরপর ২০১২ সালের ১৭ মে উপাচার্যের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।