ভারী বর্ষণে বন্ধ চবির শাটল, পাহাড় ধসে আহত ১
টানা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে পড়েছে রাস্তায়। এছাড়াও শাহী কলোনির একটি বাড়িতেও পাহাড় ধসে পড়েছে। রেললাইনে জলাবদ্ধতার কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সাধারণ পরিবহন শাটল। বিভিন্ন জায়গায় বিদুৎতের তার ছিঁড়ে পড়ে আছে। গাছও ভেঙে গেছে।
সোমবার (আগস্ট ৭) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটাপাহাড় রাস্তায় মাটি ও গাছ ভেঙে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের পাশ্ববর্তী পাহাড় ধসে পড়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলপকুর পাড়ে পাহাড় ধসে অর্ধেক রাস্তা বন্ধ আছে। এছাড়াও তিন নম্বর গোডাউনের পেছনে, স্বাধীনতা ভাস্কর্যের সামনেসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনিতে একটি বসতঘর ভেঙে একজন আহত হয়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে কাটাপাহাড় রাস্তা এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন রাস্তা।
জলাবদ্ধতার জন্য সোমবার সকালে চবির একটি শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে আটকা পড়ে। অন্যদিকে আরেকটি ট্রেন নগরীর ষোলশহরে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেনই ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাতে পারেনি।
চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, শাহী কলোনির একটি বাসার ওপর পাহাড় ধসে বড় গাছ পড়ে বাড়িটি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মানুষগুলোর কিছু হয়নি। আমরা তাদের সেখান থেকে সরে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আশ্রয় নিতে বলেছি। ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকটি জায়গায় পাহাড় ধসেছে; গাছ উপড়ে পড়েছে, বৈদ্যুতিক খুটি ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশের জন্য একটি রাস্তা খোলা আছে। আমরা আগেও মাইকিং করেছিলাম পাহড়ের পাদদেশে থাকা সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে। আজ আবার মাইকিং করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, যেখানে যেখানে গাছ পড়েছে, ব্লক আছে, সেগুলো সরানোর ব্যবস্থা চলছে। পাহাড় ধসে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।
শাটলের বিষয়ে প্রক্টর বলেন, রেললাইনের ওপরে পানি উঠে যাওয়ায় ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশন পর্যন্ত এসে আর চলতে পারেনি। তাই ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ আছে।