০১ আগস্ট ২০২৩, ২২:১২

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের না হলে শিক্ষিত বেকার কমবে না: অধ্যাপক সাজ্জাদ

  © টিডিসি ছবি

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের না হলে শিক্ষিত বেকার সংখ্যা কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার (১আগস্ট) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট হলে ইনস্টিটিটিউট অফ রিমোট সেনসিং এন্ড জিআইএসে উদ্যোগে 'এ্যাডভান্স রিমোট সেনসিং এন্ড জিআইএস' শীর্ষক এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। 

অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি কেনা থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ পর্যন্ত কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। তারপর শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে পড়িয়ে শ্রম বাজারে পাঠানো হয়। অথচ আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা রয়েছে তাদেরকে আগে দক্ষভাবে গড়ে তুলতে হবে। তাদের মান উন্নয়নের জন্য আগে বরাদ্দ দিতে হবে। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগে বিশ্বমানের করে তুলতে হবে। নয়তো, এ দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কমবে না। 

তিনি আরও বলেন, আমরা একটি ল্যান্ড অব অপরচুনিটির মধ্যে আছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জনসংখ্যা আছে। এই বিশাল সংখ্যাটাকে জনসম্পদে রূপান্তর করার দায়িত্ব আমাদেরই। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশকে বাস্তবে রূপ দিতে দেশের তরুণ সমাজকে প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। 

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, আধুনিক যুগে দেশের জনশক্তির দক্ষতা বাড়াতে রিমোট সেন্সিং এন্ড জিআইএসের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে দেশে রিমোট সেন্সিং এবং জিআইএস নিয়ে এমন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। তাই নিঃসন্দেহে এটি প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশের জনশক্তিদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে অবদান রেখে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের সাথে জড়িয়ে আছে স্মার্ট প্রযুক্তি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে তরুণদের স্মার্ট প্রযুক্তিতে দক্ষ হয়ে ওঠার বিকল্প নেই। 

অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং এন্ড জিআইএসর পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।