৩১ জুলাই ২০২৩, ১৯:১১

কাফনের কাপড়ে জড়িয়ে আমরণ অনশনে জাবির অস্থায়ী কর্মচারীরা

আমরণ অনশনে কর্মচারীরা  © টিডিসি ফটো

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে কাফনের কাপড় জড়িয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দৈনিক মজুরি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারীরা। সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অনশনের দ্বিতীয় দিনে কাফনের কাপড় পরে এমন অনশন শুরু করেন কর্মচারীরা।

এর আগে গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে চাকরী স্থায়ী করার দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন কর্মচারীরা। তবে টানা ১৩ দিনের এই কর্মসূচির আশানুরূপ ফল না পেয়ে গতকাল রবিবার প্রথম দিনের অনশন শুরু করেন তারা।  

কর্মচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসন ছয় মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোয় নিয়োগের মৌখিক আশ্বাস দেন। তবে আশ্বাসের কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় ১৭ জুলাই থেকে আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেন কর্মচারীরা। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন তারা। 

আরও পড়ুন: ৮ আগস্ট থেকে ডাউনলোড করা যাবে এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র

কর্মচারীদের দাবি, তাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়, যা বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী খুবই স্বল্প। এতে তারা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের অস্থায়ী কর্মচারী শামসুল আলম বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কয়েকবার দাবি জানিয়েছি। তারা প্রতিবার আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন করেনি। আমরা গত ১৩ দিন যাবত অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। এবার আমরা আমরণ অনশনে বসেছি। এবার আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাবো না। হয় চাকরি হবে, নয়তো এখানে আমাদের মৃত্যু হবে। 

জাহানারা ইমাম হলের অফিস সহায়ক নাসরিন আক্তার বলেন, ২৭ জুলাই ইউজিসির সাথে মিটিং করে আমাদের একটা ব্যবস্থা করবেন বলে প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু মিটিং থেকে ফিরে রেজিস্ট্রার জানান ইউজিসি নতুন কোনো পদ দেয়নি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম ও ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে একাধিকবার ফোন করলেও তারা রিসিভ করেননি। 

তবে এর আগে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগ বোর্ডে উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা বর্তমানে যেসব পদে কর্মরত সেসব পদে নিয়োগের ব্যাপারে ইউজিসির অনুমতি নেই। নতুন করে পদ সৃষ্টি করে নিয়োগেরও সুযোগ নেই। তাই তাদের নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব পদে নিয়োগের অনুমোদন পেলে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”