ঢাবি ছাত্রকে প্রলয় গ্যাংয়ের মারধর: দ্বিতীয়বারের মতো পেছাল পুলিশের প্রতিবেদন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (৩১ জুলাই) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ১৩ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
গত ২৬ মার্চ জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনের মা সাদিয়া আফরোজ খান শাহবাগ থানায় ১৯ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করে হামলার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি শাস্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের তবারক মিয়া। বাকিরা হলেন- আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের ফয়সাল আহম্মেদ সাকিব ও ফারহান লাবিব, দর্শন বিভাগের অর্ণব খান, মার্কেটিং বিভাগের মো. শোভন, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের নাঈমুর রহমান দুর্জয়, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সাদ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের সিফরাত সাহিল, সমাজকল্যাণ বিভাগের হেদায়েত নূর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাহিন মনোয়ার।
আরও পড়ুন: জবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে তীব্র আসন সংকট, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা
তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ সাইদ, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রত্যয় সাহা, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আব্দুল্লাহ আল আরিফ, কবি জসিম উদ্দিন হলের রহমান জিয়া, চাইনিজ ল্যাংগুয়েজ বিভাগের ফেরদৌস আলম ইমন, ফ্যাইন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন এবং জগন্নাথ হলের জয় বিশ্বাস।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ মার্চ দিনগত রাতে তার ছেলে জোবায়েরকে হত্যার উদ্দেশে স্টাম্প, রড, বেল্ট ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন অভিযুক্তরা। এতে তার মাথা ও চোখে গুরুতর জখম হয় এবং ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। মারধরের সময় জোবায়েরের বন্ধুরা তাকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরও পেটানো হয়। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানো হয়। মারধরে জোবায়ের চেতনা হারিয়ে ফেললে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে জোবায়েরকে তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কিছু ছাত্র মিলে প্রলয় গ্যাং তৈরি করেন। এই গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাস ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নানা অপকর্ম করে আসছিল। সম্প্রতি ঢাবির কবি জসীমউদ্দীন হলের মাঠ এলাকায় তাদেরই সহপাঠী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় গ্যাংয়ের পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। জোবায়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ ও স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।