জাবিতে ‘শিক্ষা সমাপনী’ উৎসবের নামে ‘চাঁদাবাজি’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) 'শিক্ষা সমাপনী' উৎসব আয়োজনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন দোকানগুলো থেকে অর্ধলাখ টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে। তবে চাঁদা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন 'শিক্ষা সমাপনী' উৎসবের আয়োজকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের চারটি খাবার হোটেল থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুদি ও লাইব্রেরীসহ অন্য ২৬টি দোকান থেকে ২৬ হাজার টাকা এবং চায়ের দোকান ও ভাসমান অন্য দোকান থেকে ৫০০ টাকা করে প্রায় ১০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এক চায়ের দোকানদার অন্য দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা তুলে শিক্ষার্থীদের দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন, 'প্রতিবছরই 'শিক্ষা সমাপনী' অনুষ্ঠানের নামে টাকা তোলা হয়। অন্যবার আমরা খুশি হয়ে যা দিতাম, তাই নিতো। তবে এবার জোরপূর্বক এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খাবার হোটেল থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।'
কারা টাকা নিয়ে গেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি শিক্ষার্থীদের নাম বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, 'যারা টাকা নিতে আসছিলো, তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্র।'
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন বলেন, 'র্যাগের জন্য প্রতিবছরই টাকা দেই, এবারও 'শিক্ষা সমাপনী'র নামে টাকা নিয়ে গেছে। তবে শুনেছি, এ বছর দোকানদারদের বেশি চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে।'
'শিক্ষা সমাপনী' উৎসবের আয়োজকরা এসে টাকা নিয়েছি কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, 'শিক্ষা সমাপনী উৎসবের নাম বলেই টাকা নিয়েছে।'
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে 'শিক্ষা সমাপনী' উৎসবের কোষাধ্যক্ষ তানজিলুল ইসলাম বলেন, 'শিক্ষা সমাপনী' উৎসব আয়োজন উপলক্ষে আমরা ডেইরি গেইটের দোকানদার থেকে কোন টাকা তুলিনি। এছাড়া কে বা কারা টাকা তুলেছে- তা জানি না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো, আমাদের নামে কেউ টাকা তুললে ব্যবস্থা নিবো।'
'শিক্ষা সমাপনী' উৎসবের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রীতম বলেন, 'ডেইরি গেইট থেকে 'শিক্ষা সমাপনী' উৎসব উপলক্ষে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। তবে আমাদের নামে কে বা কারা টাকা নিয়েছে, তাদের খুঁজছি। কারণ তারা আমাদের শিক্ষা সমাপনীর নামে টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানকে বিতর্কিত করেছে, তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই।'