২৫ জুলাই ২০২৩, ০৮:০১

চোখে অস্ত্রোপচারের পর আবছা দেখতে পারছেন রাবির সেই আল-আমিন

রাবি শিক্ষার্থী আল-আমিন ইসলাম  © ফাইল ছবি

স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আল-আমিন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর ডান চোখে ছররা গুলি লেগেছিল। শঙ্কা তৈরি হয়েছিল দৃষ্টিশক্তি হারানোর। তবে চোখে অস্ত্রোপচারের পর আবছা দেখতে পারছেন তিনি। গত শনিবার বিকেলে ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরেছেন।

আল-আমিন বলেন, ‘চোখে সার্জারির পর এখন আবছা দেখতে পাচ্ছি। এক হাত দূরের জিনিসও দেখতে পাচ্ছি। এখন চোখে আলো পড়লে অনুভব করতে পারি। বেশ কিছু ড্রপ ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে।’ 

গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাসচালকের বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে স্থানীয় বিনোদপুর বাজারে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। হামলা ও সংঘর্ষে আহত হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজনকে চোখের ভিট্রিয়ল রেটিনাল ইনজুরির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ভারতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে চিকিৎসার পরও চোখে দেখতে পারছেন না মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম। ঝাপসা দেখছেন ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী মিসবাহুল ইসলাম।

এদিকে আল-আমিন অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে ভারতের চেন্নাইয়ে যেতে পারছিলেন না। পরে তার বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বন্ধুদের সহায়তায় কিছু টাকা নিয়ে গত ২৫ মে ভারতে চিকিৎসা নিতে যান। তবে টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা ছাড়াই বাড়িতে ফিরে আসেন আল-আমিন ও তার বাবা।

পরে আল-আমিনের চোখের অস্ত্রোপচার করার যাবতীয় খরচ দেয় ‘সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।