ঢাবির রেজিস্ট্রার ভবনে ‘স্যার’ না বলায় শিক্ষার্থীর ওপর ‘খেপলেন’ কর্মকর্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে (রেজিস্ট্রার ভবন) ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ওপর এক কর্মকর্তা ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের ২০৮ নাম্বার কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ওয়ালিউল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তাছাড়া হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। আর অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম বোরহান উদ্দিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের (শিক্ষা-২) সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিকেলের দিকে মো. ওয়ালিউল্লাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রার ভবনে সেবা নিয়ে গিয়ে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছি। এসময় আমার কাজ করে দিতেও অস্বীকৃতি জানায় ওই কর্মকর্তা। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের পদেও রয়েছি। এসব কোন পরিচয়ে নয়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। আমি ওই কর্মকর্তার শাস্তি চাই, ভবিৎষতে যাতে কোন শিক্ষার্থী এ ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হতে না হয়।
এদিকে, এ ঘটনার বিস্তারিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে ফেসবুকের একটি গ্রুপে তুলে ধরেন ওই শিক্ষার্থী। সেখানে তিনি জানান, নাম সংশোধনের জন্য সকল কাগজপত্র নিয়ে বোরহান উদ্দিনের ডেক্সে গিয়ে তাকে ‘কাকা’ সম্মোধন করি। যেহেতু তার বয়ষ ৫০-এর বেশি হবে।
“তখনই সে আমার প্রতি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে। বলে, ‘তুমি আমাকে কাকা কেন বলতেছো? এটা কি কোনো অফিসিয়াল ভাষা। এখনো অফিসের ভাষা শিখোনি!’ আমি তাকে বললাম তাহলে আপনাকে কি ডাকবো? সে বলে, ‘অফিসের ভাষা স্যার। স্যার ডাকবা।’ পরে আমি বলেছি, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বিচার দিব। তখন সে বলছে, ‘দিও বিচার! দেখি কি করতে পারো।”
অভিযুক্ত কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিকেলে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকারকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।