চবিতে এন্টোমলজিক্যাল সোসাইটির যাত্রা শুরু
এন্টোমলজি বা বাংলায় কীটতত্ত্ব যা জীববিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ শাখা। যেখানে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। কীটপতঙ্গ বিষয়ক পড়াশোনা, গবেষণা, সংরক্ষণ সর্বোপরি কীটপতঙ্গের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগকে কেন্দ্র করে যাত্রা শুরু করেছে এন্টোমলজিক্যাল সোসাইটি অব চিটাগং ইউনিভার্সিটির (ইস্কু)।
সোমবার (১০ জুলাই) সংগঠনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এর আগে ১৩ই জুন থেকে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।
সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. জহির রায়হানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক হুমায়রা হক, মো. ইকরাম আনসার তুহিন, ও জান্নাতুল নাঈম এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সায়মা জাহানসহ সাধারণ সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন প্রভাষক জান্নাতুল নাঈম।
হুমায়রা হক বলেন, আমার ছাত্রজীবন থেকেই এমন একটি সংগঠনের স্বপ্ন ছিলো আজ তা পূরণ হয়েছে দেখে আমি আনন্দিত। আশাকরি এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা সবাই মিলে ভালো কাজ করতে পারবো।
আরও পড়ুন: বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন, ৩৫০ অধ্যক্ষ বরখাস্ত
মো. ইকরাম আনসার তুহিন বলেন, আমাদের মধ্যে পোকামাকড় নিয়ে নানারকম ভীতি রয়েছে। যাকে এন্টোমোফোবিয়া বলা হয়ে থাকে। আশা করি এ সংগঠন সাধারণ মানুষের মাঝে পোকামাকড় এর গুরুত্ব ও উপকারিতা ছড়িয়ে দিয়ে এ ভীতি দূর করায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
জান্নাতুল নাঈম বলেন, এ সোসাইটির পক্ষ থেকে গবেষণার বিভিন্ন সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার বিভিন্ন দ্বার উন্মোচন ও তাদের গবেষণায় আগ্রহী করে গড়ে তোলা যেতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন এক্সিবিশন, কৃষিবিদদের সাথে গবেষণা কাজে কোলাবোরেশান সহ এন্টোমলজির বিভিন্ন রিসোর্স গুলোতে কাজ করার একটা সুযোগ তৈরি হবে এ সংগঠন এর মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, কাঠামোগত বিজ্ঞানের আলোকে কীটপতঙ্গ নিয়ে গবেষণা ও কাজ মাত্র কয়েক শতকের। কিন্তু পোকামাকড় সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ ও জানাশোনা সেই প্রাগৈতিহাসিক আমল থেকে। অন্তত কৃষি বিপ্লবের সময় থেকে। পৃথিবী নামক এই সবুজ গ্রহে যত জীব দেখতে পাওয়া যায় তার অর্ধেকের বেশী অংশ জুড়ে আছে কীটপতঙ্গ।