২২ জুন ২০২৩, ১৯:২১

সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় চবির দুই ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার

খালেদ মাসুদ ও আরাফাত রায়হান  © ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ঢাকা স্টেট পত্রিকার প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।

চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, বুধবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে। এ বহিষ্কারাদেশ সভা শেষ হওয়ার পর থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি। বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এর আগে, ২০২১ সালেও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজে দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন প্রধান অভিযুক্ত খালেদ মাসুদ। এবার তার নেতৃত্বে সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়ে পুনরায় ৬ মাসের বহিষ্কারাদেশকে তুচ্ছ মনে করছেন চবিসাসের নেতৃবৃন্দ। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চবি সাংবাদিক সমিতি।

সংগঠনটির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ৬ মাসের বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত আমাদেরকে বেশ আশাহত করেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বিচার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। ভুক্তভোগী সাংবাদিক এখনও হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এই শাস্তির নামে মূলত অপরাধীদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, অভিযুক্ত একজন আগেও বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগ থেকে শক্তিশালী বলে আমরা জানি। ছাত্রলীগের একজন কর্মী বারবার এমন জঘন্য কাজ করার পরও এমন তুচ্ছ শাস্তি দেখে মনে হয় এসব লোক দেখানো শাস্তি। আসলে প্রশাসন ছাত্রলীগকে ভয় পায়। 

এর আগে ১৯ জুন রাতে চবিসাসের সদস্য সাংবাদিক দোস্ত মোহাম্মদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বর্বরোচিত হামলা হত্যাচেষ্টা করে। এতে অভিযুক্তরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হানসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী। আহত দোস্ত মোহাম্মদকে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।