শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট, সিনেট অধিবেশনে ঢাবি ভিসির দুঃখ প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সংকট খুবই প্রকট। তবে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ঘটলে তাদের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আজ বুধবার (২১ জুন) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনের অভিভাষণে উপাচার্য ও সিনেট চেয়ারম্যান দুঃখ প্রকাশ করে অতিদ্রুতই তার সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেন।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান নানামুখী চ্যালেঞ্জের সময়োপযোগী সমাধানের জন্য আমরা সমন্বিত চেষ্টা অব্যাহত রাখছি। শিক্ষার্থীদের আবাসন সঙ্কট খুবই প্রকট। প্রণীত নীতিমালার আলোকে সিট বন্টন এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নের নানা প্রয়াস থাকলেও অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে আশানুরূপ মানে পৌঁছা এখনো সম্ভব হয়নি। এজন্য আমি দুঃখিত। প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ঘটলে শিক্ষার্থীদের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, ইনশাআল্লাহ্। কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত লস রিকভারি প্ল্যান অনুসরণ করে সেশনজট কাটিয়ে উঠে এখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, অধিভুক্ত সাত কলেজ ব্যবস্থাপনাকে কেন্দ্র করে শুরুতে যে নানা অসন্তোষ এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা এখন বহুলাংশে স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে। নিয়মিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া যথাসময়ে ফল প্রকাশিত হচ্ছে। দূরীভূত হচ্ছে সেশনজট। শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম তথা পরীক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত নিয়মনীতি প্রতিপালনেও ক্রমান্বয়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। শিক্ষার গুণগতমানে ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। কলেজ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদেরকে প্রশিক্ষণের অবদান সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। এ লক্ষ্যে গত ১৫ জুন ৯১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বাজেট অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। যা আজকের অধিবেশনে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।