বৃষ্টিতে বিপাকে জাবি ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা 

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পরীক্ষার হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন অভিভাবকরা
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পরীক্ষার হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন অভিভাবকরা  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে  স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়েছে। ৬ শিফটের এই পরীক্ষা চলবে ৪টা ৪০ পর্যন্ত। কিন্তু দুপুরের পরে হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

সরজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৃষ্টির পানি জমে নাজেহাল হয়ে পরেছে ব্যস্ত রাস্তাগুলো। নির্মান কাজ চলমান থাকায় এই রাস্তায় অতিরিক্ত মাটি থাকায় তা বৃষ্টির পানিতে কর্দমাক্ত হয়ে পরেছে। যেখানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পা পিছলে পড়ছেনও দুই একজন। 

এছাড়া সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশে নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থাকলেও বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেককে দেরিতে ঢুকতে দেখা গেছে।

বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়ার মত ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বৃষ্টিতে ভিজে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করছেন।

এ বিষয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক কামরুন নাহার বলেন, আমার ছেলেক নিয়ে গতকাল নওগাঁ থেকে এসেছি। পরীক্ষা কেন্দ্রে এসেছি আজকে সকাল ৯টার দিকে। কিন্তু তখন থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছে। আমার ছেলে ‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। বৃষ্টিতে কোথাও দাড়ানোর মত জায়গা না থাকায় সাথে নিয়ে আসা ব্যাগ, কাগজ-পত্র ভিজে গেছে। 

আরেক অভিভাবক মোহাম্মদ নবী বলেন, আমি রাজশাহী থেকে মেয়েকে নিয়ে আজ সকালের ট্রেনে এসেছি। অভিভাবক শিক্ষার্থীদের চাপ থাকায় কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। ফলে বৃষ্টিতে ভিজেই এখানে দাঁড়িয়ে আছি।

‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী কামরুদ্দীন বলেন, আমার পরীক্ষা শেষ শিফটে। বাবার সাথে সকালেই এসেছি। তবে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ভিজে গেছি। এ অবস্থায় পরীক্ষাতে বসা কঠিন হয়ে যাবে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।  তাছাড়া অভিবাবক ও শিক্ষার্থীরা অনুষদগুলোর সামনে দাঁড়াতে পারছে। আগামী বছর থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অস্থায়ী ছাউনির ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করবো। 


সর্বশেষ সংবাদ