জাবিতে প্রক্সি দিতে এসে এবার আটক ‘জবি’ শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১৯ জুন) ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ কেন্দ্রের ২৪ নং কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত শিক্ষার্থী শাকিলের বাড়ি ময়মনসিংহে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, মুহীন তাশদীদ মাহি নামে এক ভর্তিচ্ছুর হয়ে প্রক্সি দিতে আসেন শাকিল। এর আগে রবিবার তিনি ‘সি’ ইউনিট ও ‘সি১’ ইউনিটেরও ভর্তি পরীক্ষা দেন।
আজ সোমবার ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ২৪ নং কক্ষে পরীক্ষায় বসেন তিনি। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের সন্দেহ হলে পরীক্ষার্থীর পিতার,নাম জন্মতারিখ জানতে চায়। পরে রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের সাথে পরিচয়ের গড়মিল পাওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষক ঐ ব্যাক্তিকে প্রক্টর অফিসে পাঠান।
অভিযুক্ত শাকিল প্রক্টরিয়াল বডির প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দেওয়ার তথ্য স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, জামালপুরের হাসানুজ্জামানের সঙ্গে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়। মোট ৪টি ইউনিটের পরীক্ষা দিয়ে যেকোনো একটিতে সুযোগ পেলেই টাকা দেওয়ার কথা ছিল। আমি গতকাল ‘সি’ ইউনিট ও ‘সি১’ ইউনিটের পরীক্ষা দিয়েছি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘বি’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষার সময় দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন।
তিনি আরও বলেন, এর আগে দুপুরের প্রক্সি ঘটনাসহ এই ঘটনার কথাও ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যদের জানানো হয়েছে। তারা এসেই শাকিল সহ আগের অভিযুক্ত সোহেল রানার শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। ‘সি’ ও ‘সি১’ ইউনিটে দেওয়া শাকিলের পরীক্ষার উত্তরপত্র ইতিমধ্যে বাতিল কনতে কলা হয়েছে।