ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধর, মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের ৫ ছাত্রকে ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ফ্লাইওভার বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরতরা। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৫ চুন) সন্ধ্যায় ঢাবির অমর একুশে হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিকের সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অমর একুশে হলের দুই শিক্ষার্থী ও হলের একজন স্টাফ আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নিপু, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রায়হান ও হলের স্টাফ আলমগীর। এদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত। মাথায় ১৫টা সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে অমর একুশে হলের শিক্ষার্থী সারজিস আলম বলেন, আমাদের হলের সামনে সবসময় যানজট লেগে থাকে। আজ সন্ধ্যার আগে আমাদের কিছু সিনিয়র ভাই সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিকের সমর্থকরা ১০ থেকে ১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে উল্টা পথে আসেন। আমাদের এক সিনিয়র ভাই, তাদের কাছে উল্টা পথে আসার কারণ জানতে চাইলে মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তাদেরকে হানিফ ফ্লাইওভারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এখনো রক্ত পড়ে আছে।
এতে চার শিক্ষার্থী আহত হন। এ সময় তাদের বাঁচাতে হলের স্টাফরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারপিট করে কাউন্সিলরের সমর্থকরা। ঘটনার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে চানখারপুল হানিফ ফ্লাইওভার সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এতে আশপাশের সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে হল প্রশাসনের আশ্বাসে রাত দশটার দিকে রাস্তা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর মানিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ছাত্রদের মারধরের প্রশ্নই ওঠে না। হামলাকারীরা আমার অনুসারী নয়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।