১৩ জুন ২০২৩, ২৩:০৯

জাবি শিক্ষার্থীর ওপর ছিনতাইকারীদের হামলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীর ওপর ছিনতাইকারীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এ অবরোধ। পুলিশ দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাত ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তখন ছিনতাইকারীদের হামলায় এক শিক্ষার্থী আহত হন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) শান্ত চন্দ্রশীল বলেন, সাভার থেকে রিকশায় ক্যাম্পাসে আসছিলাম। এসময় আমার সাথে আরও একজন ছিলেন। আমরা সিএন্ডবি মোড়ে পৌঁছালে তিন ব্যক্তি চাপাতি হাতে আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। এসময় আমার কাছে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার হাতে কোপ মারলে আঙ্গুলে জখম হয়।

পরে এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ঢাক-আরিচা মহাসড়ক আবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে অবরোধের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহকারী প্রক্টরসহ নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন। এর প্রায় আধাঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সাভার হাইওয়ে থানা ও আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। এসময় তার শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নিতে বলেন। শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে রাত ১০ টায় অবরোধ তুলে নেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়

এসময় শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি দাবি জানান। এগুলো হলো- সিএন্ডবি থেকে বিশমাইল এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন, সিনতাইকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়কে পর্যাপ্ত লাইট ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা।

সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে এখানে চলে আসি। শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু দাবি জানান। পুলিশ কর্মকর্তারা দাবিগুলো মেনে নিলে তারা অবরোধ তুলে নেন।

আশুলিয়া থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছি। তাদের দাবি মেনে নিয়েছি। সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সাভার থানার সঙ্গে কথা বলে যৌথভাবে কাজ করা হবে।