প্রতারণার ফাঁদে অধ্যাপক থেকে পিওন, দেড় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা কর্মচারী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের মার্কেটিং বিভাগের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আর ফেরত দেননি। টাকা ফেরত পেতে পাওনাদাররা চাপ দেওয়ায় ঈদুল ফিতরের পর থেকে অফিসে আসছেন না। এমনকি তার কোনো খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় গত বুধবার (৭ জুন) ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ওই কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন, ব্যবসায় অংশীদারিত্ব, ধারসহ বিভিন্ন উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার নেন। তার ধারের টাকার পরিমান প্রায় ১ কোটি ৪২ লাখ। এছাড়াও সাইফুল সিটি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নেন। এতে মার্কেটিং বিভাগের মো. মোস্তফা কামাল এবং ডিন অফিসের ফুডকোর্টের কর্মচারী হাবিবুর রহমানকে জামিনদান হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নই। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবে। -অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, উপাচার্য
এদিকে, চলতি বছরের ১৪ মে কর্মকর্তা জাকির ধারের টাকা ফেরত দিতে জোর দিলে সাইফুল অফিসেই জাকিরকে হুমকি দেন। সাইফুলের দাবি, তিনি ১ কোটি টাকা লেনদেন করলেও নাকি তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। পরবর্তীতে ঘটনা জানাজানি হলে সবার নজরে আসে সাইফুল অনেকের কাছেই বিভিন্ন অযুহাতে টাকা নিয়েছেন এবং অন্য কাউকে বলতে নিষেধ করেন।
অভিযুক্ত অফিস সহকারী সাইফুল ইসলাম গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রামের ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০২০ সাল থেকে মার্কেটিং বিভাগের স্থায়ী অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি পার্ট-টাইম অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় অফিস।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক আবু নাসের মোহাম্মদ ইসতিয়াকের থেকে ২ লাখ ২০ হাজার, অধ্যাপক ড. হরিপদ ভট্টাচার্য থেকে ৫০ হাজার, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ১৩ হাজার, ড. আবু রেজা মোহাম্মদ মুজারেবা থেকে ৯ হাজার টাকা ধার করেন সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মো. মনিরুজ্জান মিন্টু ১০ লাখ, মো. জাকির হোসেন ১০ লাখ, তাহমিনা আক্তার ৯ হাজার, মো. জিয়াউর রহমান ১৬ লাখ ৫০ হাজার, মো. নাসির ৪ লাখ, মো. রফিকের ৬ লাখ ৫০ হাজার, মো. ফারুক হোসেন (চুন্নু) ১৩ লাখ, প্রদীপ দে ২ লাখ ৫০ হাজার, মো. ফারুক হোসেন ২ লাখ ৫০ হাজার, মো. আব্দুল আজিজ সরদার ৩ লাখ ৪০ হাজার, হাসিনা ৩ লাখ ৫০ হাজার, সাইফুল ইসলাম মুন্না ৩ লাখ ৫০ হাজার, সালাম মণ্ডল ২ লাখ, শাহ আলম ১ লাখ, অমিত শাহ ৫০ হাজার, আলমঙ্গীর হোসেন ৫৪ হাজার, জহির ২ লাখ, মোজ্জামেল ৭ লাখ ৫০ হাজার, মো. সামিউল ৪ লাখ ৫০ হাজার, মো. জহির থেকে ৬০ হাজার, আরাফাত হোসেন (চাচা শ্বশুর) ১১ লাখ, রাব্বি হোসেন ১ লাখ ৮০ হাজার, মো. সবুজ মিয়া ৪ লাখ, মো. শফিকুল ইসলাম ৩ লাখ, রাজু মিয়া ১ লাখ ৫০ হাজারসহ তার আত্মীয়দের কাছে ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার করেন সাইফুল। মোট ২৯ জন ও অজানা কয়েকজনের কাছে মোট ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
বিভাগের পাওনাদার সবাই টাকা চাইতে থাকলে গত মে মাসের শুরুতে অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে চার দিনের ছুটি নেন। পরে ১৫ মে থেকে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন। ৩০ মে সাইফুল ইসলামের বিভাগ থেকে ছুটি শেষ হলেও তিনি এখনও তারা কাজে যোগদান করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাইফুল গত বছরের মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্য সকলের কাছ থেকে চাকরির প্রলোভন, ব্যবসায় অংশীদারিত্ব, ধারসহ বিভিন্ন উপায়ে টাকা নিতে থাকেন। এদের কয়েকজনকে সাইফুল মাসিক লভ্যাংশ ও চাকরির বেতন বাবদ কিছু টাকা প্রতি মাসে দিতেন।
এর মধ্যে বিভাগের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিন্টু ও জাকির হোসেনকে ব্যবসায়ের লাভ হিসেবে মাসিক ১৫-২০ হাজার ও চাচা শ্বশুর আরাফাত হোসেনকে ঢাবির ডিন অফিসের সহকারী হিসেবে চাকরির বেতন হিসেবে মাসিক ১৫ হাজার টাকা দিতেন। এজন্য তিনি নীলক্ষেত থেকে একটি ভুয়া আইডি কার্ড আরাফাত হোসেনকে বানিয়ে দেন এবং তাকে জয়েন করতে হবে না বলে নিয়মিত বেতন দিতে থাকেন।
আরও পড়ুন: মেয়ে সেজে ফোনে প্রেম হাবিপ্রবি ছাত্রের, হাতিয়ে নেয় ১৮ লাখ টাকা
এদিকে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে সাইফুল ইসলাম নানা অযুহাতে সবাইকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়। এক সময় বিভাগের পাওনাদার সবাই টাকা চাইতে থাকলে রোজার ঈদের পরে গত মে মাসের শুরুতে অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে চার দিনের ছুটি নেন। পরে ১৫ মে থেকে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন।
৩০ মে সাইফুল ইসলামের বিভাগ থেকে ছুটি শেষ হলেও সে এখনও তারা কাজে যোগদান করেননি। বিভাগীয় কাজে যোগ দিতে তাকে দু’বার নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে বিভাগীর অফিস। তাকে ফোন দিয়ে কিংবা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেও কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
তবে সাইফুল ইসলামের বড় কোন চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছেন কি-না সেটা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। তারা বলেন, মাত্র দেড় কোটি টাকার জন্য কেউ তার এত ভালো একটি চাকরি ছেড়ে দেবে, সেটি নিয়ে খটকা লাগছে। তাদের আশঙ্কা সাইফুল হয়তো কোন বড় চক্রের হাতে গুম হয়েছেন কিংবা তাদের ভয়ে তিনি আত্মগোপন করে আছেন।
এদিকে, সাইফুলকে তার বাড়িতেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ও বড় ভাই তৌকির আহমেদ তুষার। তিনি হারিয়ে গেছেন এবং দীর্ঘদিন বাড়িতে ফিরছে না বলে লালবাগ থানায় একটি জিডিও করেছেন তার ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, আমার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অফিস সহকারী হিসেবে পেশাগত দায়িত্বপালনের উদ্দেশ্যে গত মে মাসের ১৭ তারিখ সকাল ৮ টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।
সাইফুল ইসলামের স্ত্রী হাওয়া আক্তার ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সর্বশেষ গত ১৭ মে তার সাথে আমার কথা হয়েছিলো। এরপর সে আর আমার সাথে বা পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ করেনি। আমরা বিষয়টি জানতাম না যে উনি অনেকের কাছ থেকে এতগুলো টাকা নিয়েছেন। পরে তিনি না ফেরার বিভিন্নজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। উনার বড় ভাই তৌকির ভাইও জানতেন না যে তার নামে টাকা নেয়া হয়েছে।
তাকে কেউ গুম করেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমি আগে বিষয়টি না জানায় তার শত্রু আছেন কেউ জানতাম না। তাছাড়া তিনি মাসে মাত্র একবার বাসায় আসতেন এজন্য আমার সাথেও তেমন গোপন বিষয় শেয়ার করতেন না। জিডি করার পর পুলিশের ব্যবস্থার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, থানায় জিডি করার পরে তারা (পুলিশ) বলেছে জিডির কপি আশেপাশের থানায় পাঠিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তারা কোন খোঁজ পায়নি।
পাওনাদার কয়েকজন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ, আবার কেউ আত্বীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার-কর্জ করে সাইফুলকে দিয়েছেন। পরে তারা বুঝতে পারেন, অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছেন এবং প্রতারণার শিকার হতে যাচ্ছে। তখন টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপাচাপি করলে আত্মগোপনে চলে যান।
মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি থেকে গত বছরের মার্চ মাসে ঋণ নিই। সাইফুল বিষয়টি জানতে পেরে বড় ভাই তৌকির আহমেদ তুষারের ব্যবসার জন্য ২ লাখ টাকা ধার চায়। এজন্য আমাকে ফোন দিতে থাকে। এমনকি এপ্রিল মাসে আমি গ্রামে গেলেও সে বারবার ফোন দিতে থাকে। একপর্যায়ে অনেকটা জোর করেই সে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: ফল পরিবর্তনের ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা
তিনি আরও বলেন, তিনি আমাকে প্রতি মাসে লভ্যাংশ দিতে থাকলে পরবর্তীতে ক্লাব থেকে তাকে ২ লাখ টাকা, তৃতীয় ধাপে দুই লাখ এবং শেষবার তাকে ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ টাকা দিই। কিন্তু প্রতিবার টাকা নেয়ার সময় বলতো, সে (বড় ভাই) চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করে। একথা যেন আমি কাউকে না বলি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমি তার ভাইকে আমার টাকা ফেরত দিতে চাপ দিলে তূষার বলে, তিনি নাকি জানেন না টাকার ব্যাপারে। সাইফুল অফিসেও নিয়মিত আসতো না। সাইফুলকে কল দিলে বলতো, বাইরে আছেন। এ কথা বলে টাকা দিতে গড়িমসি করতেন।
মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেন, আমি গত ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা হাউজ লোন নিয়েছিলাম। পরে কিছু কাজ করে বাকি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে চেয়েছিলাম। সাইফুল আমাকে বলে, চাচা শ্বশুরের সঙ্গে ব্যবসা করছে। তার কিছু টাকা প্রয়োজন। আমি যদি সেখানে টাকা ইনভেস্ট করি তাহলে আমাকে সেখান থেকে লাভ দিবে বলেও জানায়। পরে আমি তাকে ৫ লাখ টাকা লোন দিলে প্রথম ৬ মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলো। ডিসেম্বর মাসে সে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চায় এই বলে যে তার ব্যবসায়ের মাল আটকে গেছে। টাকা না দিতে পারলে ব্যবসায় লস হয়ে যাবে এমনকি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। পরে আমি তাকে আবার ৫ লাখ টাকা দেই।
মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ভুক্তভোগী আবু নাসের মোহাম্মদ ইসতিয়াক বলেন, আমি সাইফুলকে ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা দিতে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা জমা দিতে বললে সে টালবাহানা করতে থাকে। একসময় সে আমাকে বলে আমি টাকা জমা দিয়েছি কিন্তু আমি পরবর্তীতে জানতে পারি সে কোন টাকা জমা করেনি। এছাড়াও সে আমার কাছে ধার হিসেবে প্রায় এক লাখ টাকা নেয় কিন্তু সেটাও সে আমাকে প্রদান করেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা থানায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। সে ঢাবির কর্মচারী হওয়ায় থানা ওসি মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে আমরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। এখন স্যারের অনুমতি পত্র নিয়ে আবার মামলা করতে যাবো।
লিখিত অভিযোগটি আমার কাছে এসেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা করা হলে আদালত তার বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। -প্রক্টর
ঘটনা প্রসঙ্গে ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি এম শহিদুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। যারা বিষয়টি সম্পর্কে জানে, তাদের সাথে যোগাযোগ করেন।
ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, লিখিত অভিযোগটি আমার কাছে এসেছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের একজন কর্মচারী এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে। যেখানে কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তা রয়েছেন।
“তবে আমি মনে করি মূল ব্যবস্থাটি মার্কেটিং বিভাগ থেকেই গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে তাকে খোঁজে পেতে হবে। কিন্তু তাকে যদি খোঁজে পাওয়া না যায় তাহলে সকল তথ্য প্রমাণসহ থানায় মামলা করতে হবে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবে। তাছাড়া টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা করা হলে আদালত তার বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নই। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।