০৮ জুন ২০২৩, ২১:০০

চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে কোডেকের ইন্টার্নশিপ চুক্তি 

চট্টগ্রামের কোডেক হেডকোয়ার্টারে ইন্টার্নশিপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ এবং কমিউনিটি ডেভেলেপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের উপর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের কোডেক হেডকোয়ার্টারে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
 
এসময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পক্ষে বিভাগের চেয়ারম্যান কাজী রবিউল ইসলাম এবং কোডেকের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ড. খুরশিদ আলম কোডেকের পক্ষ থেকে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহাইব, প্রভাষক গোলাম সরওয়ার এবং কোডেকের ডাইরেক্টটর ইমরুল হাসানসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এ বছর কোডেক থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছয় জন শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ চুক্তির অধীনে প্রতিবছর কোডেক ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছয়জন শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেবে।

ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি কাজী রবিউল ইসলাম বলেন, কোডেক বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের অত্যন্ত সুপরিচিত এবং স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। তিন দশক ধরে কোডেক প্রান্তিক মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কোডেক মানব উন্নয়নের যে সব ইস্যু নিয়ে কাজ করে চলেছে, তার সবগুলোই ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের কোর বিষয়।

তিনি বলেন, আমি বলতে পারি ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এবং কোডেকের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে স্টাডি করে এবং সমস্যা সমধানের উপায় বের করার চেষ্টা করে। আর কোডেক তা প্র‍্যাক্টিস করে। সুতরাং আমাদের এরিয়া অব ইন্টারেস্ট একই। 

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের জন্য কোডেক অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক জায়গা। আমরা আশা করি, এ চুক্তি আমাদের মধ্যে নলেজ শেয়ারিং, তত্ত্বীয় জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগ এবং ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের জব অপরচুনিটির রাস্তা আজ তৈরী হল। 

কোডেকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর খুরশীদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যা শেখেন মাঠ পর্যায়ে গিয়ে রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স না নিলে সেই শেখার পূর্ণতা আসে না। সুতরাং আজকের এই এমওইউর মধ্য দিয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের শিক্ষার্থীদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে শেখার সুযোগ তৈরি হলো।