০৫ জুন ২০২৩, ১১:৪৩

পানি সংকট, নিম্নমানের খাবার—সমস্যায় জর্জরিত বঙ্গমাতা হলের শিক্ষার্থীরা

ববি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল  © টিডিসি ফটো

পানি সংকট, ওয়াইফাই সংযোগ নেই। রিডিং রুমে চেয়ার-টেবিল প্রয়োজনের তুলনায় কম। ডাইনিংয়ের খাবারের নিম্নমান। বেডেও থাকার মতো অবস্থা নেই। এমন নানা সংকট আর সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, হলের রুমগুলোতে প্রতিবেডে এক জন করে থাকার কথা। চারজনের জন্য চারটি বেড থাকলেও আট জনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া। ছেলেদের হলে অতিরিক্ত বেঞ্চ নেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও মেয়েদের হলে অনুমতি নেই। আমাদের থাকতে খুব কষ্ট হয়। তাছাড়া প্রায়ই পানি পাওয়া যায় না। গরমে পানি না থাকলে মানুষ কীভাবে থাকে?

তৃতীয় তলার আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, এখনো ওয়াইফাই পাইনি আমরা। রিডিং রুমে পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল নেই। তাই পড়ালেখারও ক্ষতি হচ্ছে।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ করেন, ডাইনিংয়ের যা খাবারের মান, তা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে খাওয়া সম্ভব নয়। পুষ্টিহীন ও স্বাদহীন হলের এসব খাবার খেয়ে প্রায়ই ডায়রিয়া, গ্যাস্ট্রিকসহ নানা সমস্যায় ভুগছি আমরা। প্রায়ই ডাইনিং বন্ধ থাকায় আমাদের বিপাকে পড়তে হয়। হলে খাবার রান্নার কোনো অনুমতি নেই। 

এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে হলের প্রাধ্যক্ষ তাসনুভা হাবিব জিসান বলেন, নতুন হল হওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো কাটিয়ে ওঠার ও সমাধানের চেষ্টা করছি। অন্য হলে দু’টি মোটর থাকলেও এই হলে একটা মোটর তাই মাঝে মাঝে পানির সমস্যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সেক্টরেই আপাতত যন্ত্রাংশ কেনা বন্ধ আছে।

নতুন বাজেটে চেয়ার-টেবিল ও মোটর কেনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি নিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, আমরা সেটা আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই পেয়ে যাব।

তিনি আরো বলেন, ওয়াইফাইয়ের কাজ চলমান, কিছু দিনের মধ্যেই সবাই পাবে। বেডের সমস্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে আমরা সেটা দেখবো।

ডাইনিংয়ের সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ তাসনুভা হাবিব বলেন, আমরা প্রায়ই খাবারের মান পরীক্ষা করি। দেখা যায় পরীক্ষা করলে তারা খাবারের মান ভালো করেন। তাই আমরা  সব সময় এই বিষয়টি নজরদারিতে রাখি। তাছাড়া নতুন হলে শিক্ষার্থী কম হওয়ায় মাঝেমধ্যে ডাইনিং বন্ধ থাকলেও অন্য হল থেকে খাবার নিয়ে দেওয়া হয়।