প্রথমবারের মতো রাবিতে বিড়ালের র্যাম্প শো, কেউ এলিজাবেথ সাজে-কেউ পরীমণি
পিকু, বি, বার্বি, পুচি, মুন ড্যান্সার, মেলিস, ডলি, মিনি, আদর, পুষি, টুকুসহ দেশি-বিদেশি বাহারি জাতের বিড়ালের র্যাম্প শো অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এগ্রিকালচারাল ক্লাবের আয়োজনে প্রথমবারের মতো শনিবার (৩ জুন) বেলা ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিড়াল র্যাম্প শো ও বিড়ালকে যেমন খুশি তেমন সাজাও এ দুই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী জেলার প্রায় ৭০ জন প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। এছাড়াও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় পুরস্কার। র্যাম্প শো প্রদর্শন ও সাজানোর উপর ভিত্তি করে বিচারকদের মূল্যায়নে ৬ জন বিজয়ীকে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এদিকে র্যাম্প শো শেষে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পেইন-এর আয়োজন করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, র্যাম্প শোতে অংশ নিতে বিড়ালগুলোকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়ে এনেছেন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করা প্রতিযোগীরা। বিড়াল চোখে সানগ্লাস, গায়ে শাড়ি পড়ানো, গলায় বিভিন্ন রংয়ের ফিতা, গায়ে দামি পোশাক, বিড়ালের মাথায় টুপি, কোমরে বেল্ট, বিড়ালের গায়ে বিভিন্ন কসমেটিকস পড়ানো, বিড়ালের মাথায় মুকুট পড়িয়ে বিভিন্ন সাজে সজ্জিত করে এ প্রতিযোগিতায় প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন: পোষ্য কোটার ধাক্কায় পাস করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিবঞ্চিত মেধাবীরা
বিড়ালকে বর ও রানি এলিজাবেথ সাজিয়ে 'যেমন খুশি তেমন সাজাও' অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন সাবা সরকার। তিনি রাজশাহী শহরের বর্ণালী থেকে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, র্যাম্প শো দারুণ এক প্রতিযোগিতা। আমি এই প্রথম এমন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেছি। খুবই ভালো লাগছে এমন একটা প্রোগ্রামে অংশ গ্রহণ করতে পেরে। তার পারফর্মও অনেক ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজশাহীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ থেকে এসেছেন সানজিদা সাজ্জাদ ঐশী। তিনি তার বিড়ালকে ডক্টর সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, অসম্ভব সুন্দর একটা প্রোগ্রাম ছিলো।আমার বিড়ালকে আমি ডক্টর সাজিয়ে সকলের সামনে প্রদর্শন করেছি। আমার বিড়ালও অনেক উপভোগ করেছে। এমন প্রোগ্রাম হলে আবারও অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান তিনি।
বিড়ালকে চিত্র নায়িকা পরীমনি সাজিয়েছেন রিদিতা নামের এক প্রতিযোগী। তিনি পদ্মা আবাসিক এলাকা থেকে এসেছেন। তিনি বলেন, আমার পারফর্ম খুব ভালে হয়েছে। আমার বিড়াল খুবই শান্তশিষ্ট। তাকে আজকে পরীমনি সাজিয়ে এখানে প্রদর্শন করা হয়েছে। দারুণ পারফর্ম করেছে আমার বিড়াল। তার (বিড়াল) ভালো পারফর্মে পুরস্কার পেয়েছি আমি।
প্রতিযোগিতার আয়োজক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রিকালচারাল ক্লাবের সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, আমরা রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো পেট র্যাম্প শো আয়োজন করেছি। রাজশাহীতে যারা বিড়াল পোষে তাদেরকে নিয়ে মিলনমেলার আয়োজন করাই আমাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা অংশগ্রহণকারী বিড়ালগুলোকে ফ্রি মেডিকেল চেক-আপ, ভ্যাকসিন ও ডিওয়ার্মিং মেডিসিন দিয়েছি। এ র্যাম্প শোতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের আমরা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে থাকছি।
প্রোগ্রামের আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক ছিলেন ইন্টারন্যাশনয়াল সোসাইটি অব এপ্লাইড ইথোলজি প্রতিষ্ঠান। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সস অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. জালাল উদ্দিন সরদার, কৃষি অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতি ড. মোইজুর রহমান, এগ্রিকালচারাল ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ প্রায় তিন শতাধিক দর্শক।